করোনার টিকা দেওয়া ব্যতীত মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির সুযোগ নেই। করোনা ভ্যাকসিন দিয়েই অভিবাসী বাংলাদেশিদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সুযোগ পাবেন। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক শ্রী সারাভানান মুরুগান গত ১৯ মে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে এক জরুরি চিঠিতে এ বিষয়টি অবহিত করেছেন।
সম্প্রতি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এ দেশটির জনগণের সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশসহ চারটি দেশের জনগণের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি। করোনাভাইরাস মহামারির বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে সম্প্রতি বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মালয়েশিয়া। দেশটির মন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুবকে উদ্ধৃত করে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানায় মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
সম্প্রতি মালয়েশিয়া স্টার ও নিউ স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেপালের যাত্রীদেরও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ওই তালিকায় রাখা হয়েছে। তবে কবে থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে, তা স্পষ্ট করেননি মন্ত্রী ইয়াকুব। এর আগে করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ভারত থেকে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মালয়েশিয়া।
ইসমাইল সাবরিকে উদ্ধৃত করে স্টার জানিয়েছে, এসব দেশের দীর্ঘ মেয়াদী ভ্রমণ পাসধারী, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ভ্রমণকারী এবং অন্যান্য কাজে ভ্রমণকারী- সবার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
কূটনৈতিক এবং সরকারি পাসপোর্টধারীরা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন। তবে ভ্রমণের ক্ষেত্রে তাদেরও মহামারিকালের বিধিনিষেধ মানতে হবে।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়া দেশগুলো থেকে মালয়েশিয়ার নাগরিকরা ফিরতে পারবেন। তবে তাদের দেশে ফিরে ২১ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।