সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলছে পাঁচ দিন ব্যাপী গালফ ফুড মেলা। দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আয়োজিত এই মেলায় খাদ্য পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত বিশ্বের ১২৭টি দেশের সাড়ে ৫ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। বৃহত্তর খাদ্য পণ্য প্রদর্শনীর এ মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের ৪১টি প্রতিষ্ঠান। দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের জা’আবিল হল ফোর-এ বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তত্ত্বাবধানে স্টল বরাদ্দ পেয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই মেলা শেষ হবে আগামী শুক্রবার।
জানা যায়, পৃথিবীজুড়ে যেসব প্রতিষ্ঠান খাদ্যপণ্য উৎপাদন, বাজারজাত ও রপ্তানি করে থাকে তারা এই মেলাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে। নতুন নতুন খাদ্য পণ্য সম্পর্কে জানতে খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি পরিবেশক প্রতিষ্ঠানগুলোও হাজির হয়েছে এই মেলায়।
সিটি গ্রুপের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর লুৎফুর কবির জানান, গত বছরের তুলনায় এবার তারা বেশি ক্রয়াদেশের প্রত্যাশা করছে।
মেলায় প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছে আকিজ এসেনশিয়াল লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ম্যানেজার (এক্সপোর্ট) সীমা দে বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ এই মেলায় অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানির বাজারও দীর্ঘ হচ্ছে। তাই আমাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসার ঘটাতে এখানে অংশগ্রহণ করেছি। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যদেশগুলো তাদের পণ্য বাজারজাত করণে যে পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছি।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে এবং দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ড তৈরির লক্ষে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এবার পণ্যের গুণগত মানের পাশাপাশি প্যাকেজিংকেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার সরকার জানান, গালফ ফুড মেলা থেকে ক্রয়াদেশসহ ভাল সাড়া পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে আগামী বছর এই মেলায় আরও বড় পরিসরে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালে ১৩টি দেশের মাত্র ৬৫টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে খাদ্যপণ্যের এই মেলার শুরু হয়, যেখানে দর্শনার্থী ছিলেন মাত্র ১ হাজার ৬০০ জন। অথচ ২৯তম এই আসরে লক্ষাধিক দর্শনার্থীর আগমন ঘটবে বলে আশা করছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।