রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৭ জন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল ৮টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে তাদের মৃত্যু হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, যে ১৭ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে রাজশাহীর ১০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩, নওগাঁও ১, পাবনায় ১ ও নাটোরের দুইজন রয়েছেন। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা। এ নিয়ে মোট ৪২২ জনের মৃত্যু হলো।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দুই ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৬৭ জনের আর করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯৯ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪২.৬১ শতাংশ।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে ওয়ার্ড ও শয্যা সংখ্যা। আইসিইউসহ শয্যা সংখ্যা ৪০৫টির মধ্যে রোগী শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভর্তি রয়েছে ৪৬৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৭৩ জন। আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ২০ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সারা দেশের ন্যায় ৭ দিনের জন্য রাজশাহীতে চলছে কঠোর লকডাউন। এর আগে, রাজশাহীতে ছিলো সর্বাত্মক লকডাউন। তৃতীয় দফায় ৩০ তারিখ মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ সর্বাত্মক লকডাউন দ্বিতীয় দফায় ২৪ তারিখ মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এর আগে প্রথম দফায় ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন ছিল।
সর্বাত্মক লকডাউন পরিস্থিতি সবসময় অবলোকন করছেন প্রশাসন। কিন্তু রাজশাহী নগরীর মানুষ লকডাউন মানলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ ব্যাংক-বীমা, কাঁচাবাজার খোলা রাখা ও আম পরিবহন ও বিপণনের জন্য বেশ কিছু মানুষকে বিভিন্ন সময়ে বাইরে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে বেশ সতর্ক দৃষ্টি রেখেছেন। তারা লকডাউনে বাইরে চলাচলকারীদের পথ রোধ করছেন এবং সন্তোষজনক উত্তর পেলেই তাদের গন্তব্যে যেতে দিচ্ছেন। এ সর্বাত্মক লকডাউনে আমসহ কৃষিজাত পণ্য পরিবহন ও জরুরি সেবা পরিবহন ছাড়া দূরপাল্লার বাস, স্থানীয় গণপরিবহন ও রাজশাহী রেল স্টেশন থেকে সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।