রাজধানীর মগবাজারে বিস্ম্ফোরণের ঘটনায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন নুরুন্নবী ও মো. রাসেল। গতকাল বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে বিস্ম্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১১-তে।
গত রোববার সন্ধ্যায় মগবাজার আউটার সার্কুলার রোডের পাশে তিনতলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ম্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনার দিন ছয় জন প্রাণ হারান। আহত হন কয়েকশ মানুষ। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। গত মঙ্গলবার ঘটনাস্থলের ইটের স্তূপ সরিয়ে ওই ভবনের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশীদের লাশ পাওয়া যায়। গতকালের দু’জন নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চারজন।
গতকাল ভোরে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভ্যানচালক নুরুন্নবীর মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ঘটনার সময় তিনি ওই ভবনের সামনে ভ্যান নিয়ে যানজটে আটকা পড়েছিলেন। তার বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর গ্রামে। তিনি ঢাকায় এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল এলাকার একটি মেসে থাকতেন।
দুপুরে একই হাসপাতালে মারা যান রাসেল। তার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বরুয়াল এলাকায়। তিনি ওই ভবনের নিচতলায় বেঙ্গল মিটের বিক্রয়কেন্দ্রে কাজ করতেন।