এবার যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জন্য বানাবে মহাকাশযান মার্কিন কোটিপতি এলন মাস্কের মহাকাশযান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স। এজন্য স্পেস এক্সের সঙ্গে ২৮৯ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে নাসা। এই মহাকাশযান নভোচারীদের চাঁদে নিয়ে যাবে। গেল ৫০ বছরের মধ্যে এমন ঘটনা এই প্রথম। এলন মাস্কের রকেট কোম্পানির মানুষের জন্য স্পেসফ্লাইট তৈরির প্রকল্প আছে, যেটি স্পেস এক্সে আর্টেমিস নামে পরিচিত।
এটা নিঃসন্দেহে দুঃসংবাদ মার্কিন আরেক কোটিপতি অ্যাসাজান এর প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজসের মহাকাশযান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের জন্য। কারণ বেজসও লুনার ল্যান্ডার তৈরির কাজ করছিলেন। কিন্তু শেষমেশ বাজিমাত করলেন এলন মাস্ক। টেক্সাসে এরইমধ্যে লুনার ল্যান্ডার তৈরির কাজ করছে স্পেস এক্স।
স্টারশিপ নামে পরিচিত এ মহাকাশযান বা রকেটটি তৈরি হচ্ছে এলন মাস্কের স্বার্থেই। কারণ স্টারশিপ দিয়ে প্রথধমবারের মতো চাঁদে মানুষকে নিয়ে যেতে চান এলন মাস্ক।
কিন্তু এখন পর্যন্ত স্টারশিপের প্রোটোটাইপ রকেটের সবগুলোর পরীক্ষামূলক উড্ডয়নই বিফলে গেছে। যাত্রাপথে বিধ্বস্ত হয়েছে রকেটগুলো। কিন্তু হার মানছেন না এলন মাস্ক। তার স্পেস এক্সে একের পর এক রকেট তৈরি হচ্ছে। চন্দ্রযানের জন্য নাসা তিনটি চুক্তি করার ঘোষণা দেয় গত বছর। এরমধ্যে একটি পায় স্পেস এক্স আরেকটি ব্লু অরিজিন। প্রত্যাশা ছিল, এই দুই কোম্পানি প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সফল দুটি চন্দ্রযান প্রস্তুত করতে পারবে।
নাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, স্পেস এক্স আর ব্লু অরিজিনকে ডিজাইন, টেস্ট ফ্লাইট পরিচালনাসহ সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছে নাসার পক্ষ থেকে। তবে নাসা এটাও জানায়, চন্দ্রযান তৈরির বিষয়ে স্পেক্স এক্সের সঙ্গেই এখন থেকে কাজ করবে নাসা। কারণ স্পেস এক্স চন্দ্রযান তৈরির কাজে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি দেখিয়েছে। নাসা বলছে, স্পেস এক্সের মহাকাশযান তাদের কাছে নভোচারীদের জন্য বেশি নিরাপদ মনে হচ্ছে।
আর্টেমিস প্রোগ্রাম: দ্য স্পেস লঞ্চ সিস্টেমের একটি রকেট মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং তৈরি করছে। জায়ান্ট রকেটটি নভোচারীদের নিয়ে যাবে চাঁদের কক্ষপথে। এখান থেকে রকেটটিকে হস্তান্তর করা হবে গেটওয়ে স্পেস স্টেশনে। এখান থেকে স্টারশিপ নভোচারীদের নিয়ে যাবে চাঁদের মাটিতে। এই স্পেস লঞ্চিং সিস্টেমে খরচ হচ্ছে কোটি কোটি ডলার।
এর আগে স্পেস এক্সকে চন্দ্রযান নির্মাণে কংগ্রেসকে তহবিলের জন্য রাজি করাতে লেগেছে দুই বছর। স্পেস এক্স বলছে, আর্টেমিস চুক্তিই প্রমাণ করে, স্পেস এক্সের প্রতি নাসার আস্থা আছে। গেল কয়েক বছর ধরে নাসার সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক স্পেস এক্সের। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নভোচারী নিয়ে স্পেস এক্সের ড্রাগনের দুটি ফ্লাইট গেছে সফলভাবে। আরেকটি চলতি বছর যাওয়ার কথা রয়েছে।
এন-কে