ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় এবং ক্ষয়ক্ষতি রোধে চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় ৫১১টি আশ্রয় কেন্দ্র, এক হাজার ৪৪০টি বিদ্যালয়, নয়টি মুজিব কিল্লা এবং আশেপাশের ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে প্রায় চার লাখ লোককে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হবে।
প্রস্তুত থাকবে ১৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার ও ওষুধ পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যেতে মাইকিং চালু রাখতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য কোস্টগার্ডকে তাদের বোটগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। সাগরে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলোর নিরাপদ অবস্থানে থাকার বিষয়টি তদারকি করতেও বলা হয়েছে। দুর্যোগে হতাহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।’
এদিকে, ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২৫ মেট্রিক টন চাল, ৫ লাখ নগদ টাকা, ১০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৭০০ কার্টুন বিস্কুট, ৫০০ কেক দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
ইউআর/