নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর জংশন স্টেশনে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা ফসকে নুরুজ্জামান এন্তাজ নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার বাবা উপস্থিত ছিলেন। চোখের সামনে ছেলের এমন মৃত্যু দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে রাজশাহীগামী একটি ট্রেনে উঠতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে। নুরুজ্জামান এন্তাজ রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র। তার বাবা পাবনা জজকোর্টের উকিল ইসাহাক আলী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনদের বরাত দিয়ে আব্দুলপুর জংশন স্টেশনের মাস্টার জিয়াউদ্দিন জানান, রাজশাহী যাওয়ায় উদ্দেশ্যে সকাল ৭টায় ঈশ্বরদী থেকে বাবা ইসাহাক আলীর সঙ্গে কমিউটার ট্রেনে ওঠেন এন্তাজ। ৭টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি জংশন স্টেশনে পৌঁছায়। এরপর নাস্তার জন্য ট্রেন থেকে নেমে স্টেশন সংলগ্ন হোটেলে যান তারা। নাস্তা শেষ করতেই ট্রেন ছেড়ে দেয়। দৌড়ে চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা ফসকে চাকার নিচে পড়ে যান এন্তাজ। বাবার চোখের সামনে ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি জিআরপি থানাকে জানানো হয়েছে।
ইসাহাক আলীর বন্ধু স্বপন কুমার বলেন, ‘ইসাহাকের বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশির সাঁড়া ইউনিয়নের মাঝদিয়া গ্রামে। তবে শহরের আলীবর্দি রোডের কোবা মসজিদের পাশে একটি বাড়িতে বসবাস করেন তিনি। তার এক মেয়ে ও এক ছেলে ছিল। দুই বছর আগে সন্তান প্রসবের সময় মেয়ে মারা গেছে। আজ ছেলেকেও হারালেন।’
ঈশ্বরদী জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিহির রঞ্জন দেব জানান, দুুপুরে লাশ উদ্ধার করে ঈশ্বরদী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ইউআর/