আজ ১০ সেপ্টেম্বর, আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘কর্মের মাধ্যমে আশা তৈরি করো’। ২০০৩ সাল থেকে প্রতিবছর ১০ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ সংস্থা দিবসটি পালন করে আসছে।
২০০৩ সাল থেকে দিবসটি পালন করা শুরু হলেও ২০১১ সালে প্রায় ৪০টি দেশ এই দিবসটি উদযাপন করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক নির্যাতন, কলহ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, পরীক্ষা ও প্রেমে ব্যর্থতা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, প্রাত্যহিক জীবনের অস্থিরতা, নৈতিক অবক্ষয়, মাদক ইত্যাদি কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মহত্যা প্রবণতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দশম। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আজ এই দিবস পালিত হচ্ছে।
গত এক যুগে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশে আত্মহত্যায় মৃত্যুহার প্রতি লাখ মানুষে কমপক্ষে ৭.৮ থেকে ৩৯.৬ জন। বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টে বোঝা যায় যে দেশে আত্মহত্যার হার বাড়ছে।
উল্লেখ্য, পৃথিবীতে প্রতিদিন এক লাখ মানুষের মধ্যে ১৩ হাজার ৪২ জন আত্মহত্যা করে। মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের আত্মহত্যার পরিমাণ ৩ গুণ বেশি। পৃথিবীতে প্রতিদিন গড়ে ১৩২ জন আত্মহত্যা করে। আর বাংলাদেশে প্রতি বছরে প্রতি লাখে গড়ে ১২ হাজার ৮০৮ আত্মহত্যা করে, যা ঊর্ধ্বমুখী।
বাংলাদেশের মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। ২০১৯-২০ কোভিড সময়ে বাংলাদেশে আত্মহত্যা করছে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন। যাদের মধ্যে ২০-৩৫ বয়সের মানুষ বেশি আত্মহত্যা প্রবণ।