করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০৪ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মৃ’ত্যুর হয়েছে ১৭ হাজার ৬৬৯ জনের। শনিবার (১৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে.।
এর আগে, গত ১১ জুলাই দেশে করোনায় সর্বোচ্চ মৃ’ত্যু হয়েছিল ২৩০ জনের। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃ’ত্যু হয়েছে ১৫ জুলাই ২২৬ জনের।
নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৪৮৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪১১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৮ হাজার ৮২০ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ২৩ হাজার ১৬৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ হাজার ১৫টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ২১৪টি। এখন পর্যন্ত ৭২ লাখ ১৫ হাজার ৫৮১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং মারা গেছেন ১ দশমিক ৬২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৫ জন পুরুষ এবং ৭৯ জন নারী মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ২৯১ জন এবং ৫ হাজার ৩৭৮ জন নারী মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২০ বছরের নিচে একজন। ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৫১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৫ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে ৮২ জনের, চট্টগ্রামে ৩২ জন, রাজশাহীতে ২০ জন, খুলনায় ৪৯ জন, বরিশালে পাঁচজন, সিলেটে দুজন, রংপুরে ১০ জন এবং ময়মনসিংহে চারজন মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃ’ত্যু হয়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।