আগামী ২১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা কেন্দ্র করে মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ায় আকাশপথে চাপ বেড়েছে। এয়ারলাইনসগুলো যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ৯৫ ভাগ টিকিট বিক্রি শেষ। তবে যেসব টিকিট বিক্রি হয়নি, সেগুলো একটু বেশি দাম।
জানা গেছে, সড়ক পথে তীব্র যানজট ও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় আকাশপথেই মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। এতে শহর থেকে যারা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন তাদের অনেকেই আকাশপথে যাত্রা করতে চাচ্ছেন। কারণ সড়ক পথে স্বস্তি নেই। ২৩ জুলাই থেকে ফের কঠোর লকডাউন আরোপ করবে সরকার। ফলে ঈদের পরদিনই ফেরার তাগিদ থাকছে অধিকাংশ মানুষের।
এয়ারলাইনসগুলো আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত ফ্লাইটসূচি সাজিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতিদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে তিনটি, সৈয়দপুরে তিনটি, কক্সবাজারে দুটি, যশোরে দুটি, সিলেটে দুটি, রাজশাহীতে একটি এবং বরিশালে একটি করে ফ্লাইট রয়েছে।
বেসরকারি এয়ারলাইনস নভোএয়ারের ফ্লাইট রয়েছে প্রতিদিন চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, যশোরে ছয়টি করে, বরিশালে চারটি, সিলেটে তিনটি, রাজশাহীতে তিনটি এবং কক্সবাজারে দুটি করে।
আর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ফ্লাইট ঘোষণা করেছে দৈনিক ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পাঁচটি, কক্সবাজারে দুটি, সৈয়দপুরে সাতটি, যশোরে ছয়টি, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহীতে চারটি করে ফ্লাইট।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিপণন ও জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা থেকে যাওয়ার প্রায় সব টিকিটই বিক্রি হয়েছে। ২০ ও ২১ জুলাইয়ের কিছু টিকিট রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এবার চাপ সবচেয়ে বেশি সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে। কক্সবাজারে পর্যটন নিষিদ্ধ থাকায় সেখানে স্বাভাবিক চাপ রয়েছে। চট্টগ্রামেও স্বাভাবিক সময়ের মতোই চাপ দেখা যাচ্ছে।