আজ রোববার (৪ জুলাই) সরকার ঘোষিত সাতদিনব্যাপী কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন। লকডাউন কার্যকরে মাঠে রয়েছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে জরিমানা ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গণপরিবহন না চললেও রাজধানীতে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ছে।
লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ায় রাজধানীতে প্রথম দিন ৫৫০, দ্বিতীয় দিন ৩২০ ও তৃতীয় দিন ৬২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তৃতীয় দিনে ৩৪৬ জনকে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানাও করা হয়। অন্যদিকে লকডাউনের তৃতীয় দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় সারাদেশে ২৭৭ জনকে প্রায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যা ব। সারাদেশে ৩১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যা বের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, লকডাউনের মধ্যে আজ রোববার ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তবে নতুন নির্দেশনায়, লকডাউন চলাকালে প্রতিদিন সাড়ে ৩ ঘণ্টা করে সপ্তাহে চার দিন ব্যাংকের লেনদেন চলবে। এজন্যে শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি রোববারও ব্যাংক বন্ধ থাকছে।
কঠোর লকডাউন আপাতত চলবে ৭ জুলাই বুধবার পর্যন্ত। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে। লকডাউনের সরকারি নির্দেশনায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে যেমন জেল-জরিমানা তেমনি বাইরে বের হলে মাস্ক পরে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার কথাও বলা হয়েছে। তাছাড়া জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ রয়েছে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠান।
রাজধানীর বিজয় সরণিতে দায়িত্বরত ডিএমপির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে রোববার সকালে বলেন, গত তিন দিনের তুলনায় আজ গাড়ির চাপ একটু বেশি। কারণ অনেক প্রতিষ্ঠান আজ খোলা রয়েছে। আমরা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে যেতে দিচ্ছি না।