নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার আট অনুসারীর ওপর গুলিবর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাত ১১টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার খালেক মেম্বার ও হেলাল মেম্বারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
কাদের মির্জার অনুসারী চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল গনি জানান, চরএলাহীর চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রাতের অন্ধকারে তাদের (গনি) খালেক মেম্বারের বাড়ি এবং পার্শ্ববর্তী হেলাল মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় সন্ত্রাসীদের নির্বিচারে গুলির শব্দে ঘুমন্ত নারী-পুরুষ ও শিশুরা দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করে পালাতে থাকে। এ সময় গুলিতে তাদের অন্তত আটজন মারাত্মক আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- খালেক মেম্বারের ছেলে বাহার (৩০), হেলাল মেম্বারের ছেলে রুবেল (২৫), সিরাজ মিয়ার ছেলে সবুজ (৩৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে ইউসুফ (২৮), বেলাল হোসেনের ছেলে ফিরোজ (২৩), জামাল উদ্দিনের ছেলে ইলিয়াছ (২৮), নুর মিয়ার ছেলে হেলাল মেম্বার (৪০) ও জইদর মিয়ার ছেলে সাদ্দাম (৩০)।
আবদুল গনি আরও বলেন, আহত গুলিবিদ্ধদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আবদুল গনি দাবি করেন, গত ২৫ জুন (শুক্রবার) অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে আটক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয়ায় রাজ্জাক ও শাহীনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে এই ঘটনার বিষয়ে চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।