স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা লকডাউন নির্ভর হতে চাই না, ভ্যাকসিন নির্ভর হতে চাই। স্বনির্ভর হবে দেশ। দেশে টিকা উৎপাদনের কারখানা হবে গোপালগঞ্জে।
শনিবার (২৬ জুন) করোনার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মাানিকগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিকে আমরা ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করব। নিজ দেশেই উৎপন্ন হবে ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি, ভ্যাকসিন চলমান। এসব উন্নয়নের কারণে আমাদের দেশে মৃত্যুহার দেড় শতাংশ। সারা পৃথিবীতে মৃত্যুর হার আড়াই শতাংশ। করোনার কারণে কেউ চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারছে না। তারা এই দেশেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা লকডাউন চাই না। লকডাউনের মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি হয়। দেশের বিরাট ক্ষতি হয়ে যায়। কাজেই এটা আমাদের কাম্য নয়। কিন্তু মানুষের জীবন রক্ষার্থে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে লকডাউন আমাদের দিতে হচ্ছে। কারণ আপনারা জানেন ভ্যাকসিন যে সংখ্যা চাই, সে সংখ্যায় পাই না। আমরা ভারতের সঙ্গে তিন কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি করেছিলাম। পেয়েছি মাত্র ৭০ লক্ষ। আর তারা উপহার দিয়েছিলো ৩০ লক্ষ। এখনো দুই কোটি পাওনা আছে। চায়নার সাথে আমাদের দুই কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি আছে। সব মিলিয়ে ৬ কোটি ৮০ লক্ষ বুকিং দেওয়া আছে। সবাই যদি তাদের কমিটমেন্ট রক্ষা করে তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১ কোটি ভ্যাকসিন হাতে আসতে পারে। এতে সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারবো। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে জনসন এন্ড জনসনের সাত কোটি ভ্যাকসিন পাওয়া গেলে দেশে ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা যাবে।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, চিনের সিনোফার্ম কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। সেখান থেকে খুব তারাতারি ভ্যাকসিন আসবে। সংখ্যাটা এই মুহুর্তে বলা না গেলেও একটা ভালো সংখ্যা হবে বলে আশা করছি। সেই সাথে রাশিয়া ও চায়নাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আমাদের দেশে সরকারের সঙ্গে অথবা প্রাইভেট কোম্পানীর সাথে যৌথভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করার। তারা রাজি হলে এব্যাপারে ভ্যাকসিন তৈরির অনুমোদন দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ডব্লিউএইচও যে তথ্য দিয়েছে তাতে মডার্নার ভ্যাকসিন আগামী ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে চলে আসবে। মডার্নার ভ্যাকসিন খুবই ভালো ভ্যাকসিন। মাইনাস ২০ ডিগ্রি রাখতে হয়। সে ব্যবস্থাও ইতোমধ্যে করা হচ্ছে।