প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে সাতদিনের কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউনের মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এজন্য দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন এবং সব স্থলবন্দর খোলা থাকবে।
শনিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের পরিচালক (তথ্য) সৈয়দ এ মুমেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে এনবিআরের কার্যক্রমকে জরুরি সেবার আওতায় আনা হয়েছে। তাই সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যেও কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম সচল থাকবে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, কঠোর লকডাউনেও বেনাপোল, হিলি, সোনামসজিদ, ভোমরা, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী, তামাবিল, আখাউড়া, বিবিরবাজার, টেকনাফ, নাকুগাঁও ও সোনাহাট এই ১২টি স্থলবন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর, মোংলা বন্দর ও বিমানবন্দরের শুল্ক কার্যক্রমের পাশাপাশি সারাদেশে ৩০টির বেশি শুল্ক স্টেশনও খোলা থাকবে।
দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে গতকাল সরকার এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়। আগামী সোমবার সকাল ছয়টা থেকে শুরু হবে এই লকডাউন। রোববার এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।