বাঁশখালীতে এক মাস বয়সী হাতির শাবক মা’কে হারিয়ে লোকালয়ে চলে আসার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় লোকজন ও আপন ভাবে গ্রহণ করেছে শাবকটিকে। গতকাল বিকালে বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য গভীর জঙ্গল সাতকানিয়া-বাঁশখালী সীমান্তবর্তী পাইরাং দোপাছড়ি ছড়ার কাঁদা মাঠিতে আটকে পড়ার পরে বনবিভাগ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় একটি হাতি শাবককে উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। উদ্ধারের পরে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে শাবকটিকে বনের ছেড়ে দেওয়ার পর এটি আবার লোকালয়ে চলে এসেছে। বর্তমানে স্থানীয়দের সাথে লোকালয়ের দিন কাটছে শাবকটির।
এর মধ্যে দেশের স্বনামধন্য পর্যটন স্পট নামে খ্যাত কক্সবাজারের ডুলহাজারা সাফারি পার্ক কতৃপক্ষের সাথে আলাপ ও করেছে বন বিভাগ। যদি শাবকটি মায়ের কাছে স্বভাবিক ও প্রাকৃতিক নিয়ে ফিরে না যায় তবে সাফারি পার্কে প্রেরণ করা হবে। বর্তমানে বাচ্চা হাতিটাকে দিনে ৮-১০ লিটার তরল দুধ এবং কলা খাওয়াতে হচ্ছে। আপাতত শাবকটিকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। হাতির শাবকটি পুরুষ এবং ওজন প্রায় ৮০-৯০ কেজি হবে বলে ধারণা করছে স্থানীয় বন কর্তৃপক্ষ। তবে এই রকম শাবক বাঁশখালী’র গভীর জঙ্গলে আরও দুই তিনটা আছে বলে জানান যায়। পরিস্থিতি বুঝে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা যায়।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার ধারনা মতে এই বাচ্চা হাতি কাঁদা মাঠিতে আটকে পড়ার পরে তার মা অনেক চেষ্টা করেছে শাবকটিকে উদ্ধার করার জন্য, পরে ব্যর্থ হয়ে গভীর জঙ্গলে চলে যায় শাবকটির মা। আটকে পড়ার খবর পেয়ে সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাচ্চা শাবকটিকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে চিকিৎসা প্রদান করাই। এখন বাচ্চাটি সুস্থ আছে।
বাঁশখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার সুপন নন্দী মুঠোফোনে বলেন, একটা হাতি বাচ্চা উদ্ধার হওয়ার পরে বন বিভাগ সূত্রে খবর পেয়ে আমি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতির শাবকটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করি। প্রকৃতিক খাবার হিসেবে দুধ, কলা সাথে স্যালাইন এবং হাল্কা ব্যথার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি বর্তমানে হাতিটা সুস্থ রয়েছে। বর্তমানে শাবকটি আমার অবজারভেশনে রয়েছে।