জয়ের ধারায় ফিরল পিএসজি, ফেরালেন লিওনেল মেসি। শনিবার রাতে গোল করলেন এবং করালেন। তাতে নিসকে ২-০ গোলে হারিয়ে লিগ ওয়ানে ফের ৬ পয়েন্টে লিড নিল পিএসজি। দুই হারের পর জয়ে ফিরল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
গত সপ্তাহে লিওঁর বিপক্ষে ঘরের মাঠে হেরে যায় পিএসজি। ওই ম্যাচে স্বাগতিক ভক্তরা মেসিকে দুয়ো দেয়। ঘরের দর্শকদের সামনে এমন আচরণের কারণে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের প্যারিস ছাড়ার গুঞ্জন আরো জোরাল হয়। তবে সেসব একপাশে সরিয়ে রেখে মেসি জ্বলে উঠলেন স্বমহিমায়। গোল ও অ্যাসিস্টে অনন্য এক মাইলফলক ছুঁয়েছেন মেসি। ক্লাব ক্যারিয়ারে এক হাজার গোলে অবদান ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী তারকা ২৬তম মিনিটে নুনো মেন্দেসের ক্রস থেকে গোলমুখ খোলেন। ইউরোপে ৭০২তম ক্লাব গোলে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে (৭০১) পেছনে ফেলেন তিনি। তারপর ৭৬তম মিনিটে বাঁপ্রান্তের কর্নার থেকে মেসির উড়িয়ে মারা বল হেড করে জালে জড়ান অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। তাতে এক হাজারতম গোলে নিজের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
সব মিলিয়ে ১৪ ম্যাচ অজেয় থেকে পিএসজিকে স্বাগত জানায় নিস। প্রথমার্ধে সমতা ফেরানোর বেশ কাছে ছিল তারা। কিন্তু নিকোলাস পেপে ও তেরেম মফির প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেন স্বাগতিক গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা।
অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার দান্তের শট ক্রসবারের নিচে লেগে ফিরে এসেছিল। ৫১তম মিনিটের ওই শট গোললাইন অতিক্রম করেছিল। কিন্তু রেফারি জেরেমি পিগনার্ড গোললাইন প্রযুক্তির সংকেত পাননি। যদিও ভিডিও রিপ্লেতে গোল হতে দেখা গেছে।
এই বছর ৮ ম্যাচ হারা পিএসজিকে চাপে রাখে নিস। দোনারুম্মা রক্ষাকর্তা হন, পেপে ও ইউসুফ দাইশিমিয়েকে রুখে দেন। সুযোগ নষ্টের ম্যাচে স্বাগতিকরা ক্রসবারে আঘাত করে।
গত মৌসুমে যে ক্লাবের কোচ ছিলেন ক্রিস্টোফার গালটিয়ের, সেখানে তার ফেরাটা সুখের হয়নি। পিএসজি কোচের বিরুদ্ধে নিস ভক্ত-সমর্থকরা অপমানজনক স্লোগান দেয় এবং তাকে নিয়ে অসম্মানজনক ব্যানার প্রদর্শন করে।
অবশ্য শেষ বাঁশি বাজার পর অপমান করা ভক্তদের সামনে দাঁড়ান গালটিয়ের এবং বিদ্রূপের সঙ্গে থাম্বস আপ দেখান। তাতে দর্শকরা রাগে আরও ফেঁটে পড়ে। পিএসজি স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুইস কাম্পোস দ্রুত বিষণ্ন গালটিয়েরকে মাঠ ছাড়তে বলেন।
৩০ ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা পিএসজির সংগ্রহ ৬৯ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা লঁসের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান এখন ছয়। আর ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে আটে অবস্থান নিসের।