চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ। মুল ভুখন্ডের সাথে যোগাযোগের কোন স্থল পথ না থাকায় একমাত্র পথ নৌ পথ। আর এ নৌ পথেই বিভিন্ন সময় কয়েক হাত বদল হয়ে অবৈধ মোটর সাইকেল এবং চোরাই মোটর সাইকেল প্রবেশ করে।
আজ সকাল থেকে চট্টগ্রাম থেকে আগত ডিবি পুলিশ এবং চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ টিম
সন্দ্বীপের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবৈধ মোটর সাইকেল আটক করার জন্য চেকপোস্ট বসান।
বিশেষ অভিযান শেষে দুপুরে সন্দ্বীপ থানায় চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার ওয়াশিম ফিরোজ সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সামনে জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে এবং সন্দ্বীপে প্রচুর রেজিষ্ট্রেশনবিহীন মোটর সাইকেল আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালাই। অভিযানে ৫৬ টি মোটর সাইকেল আটক করা হয় এবং ২০ টি মামলা দেওয়া হয় বলে জানান সহকারি পুলিশ সুপার। এছাড়া তিনি সন্দ্বীপের মানুষ কে সচেতন হতে বলেন এবং দ্রুততার সাথে যেসকল মোটর সাইকেল শোরুম থেকে কিনা কিন্তু রেজিস্ট্রেশন হয়নি সেগুলো রেজিস্ট্রেশন করে নিতে বলেন।
উল্লেখ্য চট্টগ্রাম শহর থেকে চুরি হওয়া ৩ টি মোটর সাইকেল উদ্ধারে নামে কোতোয়ালি থানা ডিবির টিম। চোরাই সেই ৩ টি মোটর সাইকেল সহ আরো রেজিেস্ট্রশন বিহীন ২১ টি মোটর সাইকেল আটক করেন গত ২৬ মার্চ।
২৬ মার্চ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি) (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, গত ২৫ মার্চ চুরি যাওয়া একটি মোটরসাইকেলসহ মিঠুন ও বাবরকে প্রথমে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্দ্বীপসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া মোটরবাইক উদ্ধার এবং অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা হলেন মিঠুন ধর (২৯), বাবর ওরফে বাবুল (৩৫), মো. শাহাদ (২৬), মো. রিপন (৪০) ও মো. খোরশেদ আলম (২৯)। মিঠুন এই চোর চক্রের প্রধান বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সন্দ্বীপ থেকে ২৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
প্রেস বিফ্রিংয়ে সহকারি পুলিশ সুপার বলেন আমাদের এ অভিযান চলবে।