নেপালের উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশে রপ্তানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি। রোববার চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চিটাগাং চেম্বারের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মত ব্যক্ত করেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বিবিআইএন) সংযুক্তি চুক্তির আওতায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং ট্রানশিপমেন্টের মাধ্যমে এ অঞ্চলে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদারের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তাছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে কার্গো এবং যাত্রীবাহী যানবাহন চালু করার বিষয়ে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটন খাতে দুদেশের সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চিটাগাং চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। সভায় চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন ও সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বক্তব্য রাখেন।
এ সময় চেম্বার পরিচালক এ কে এম আক্তার হোসেন, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, অঞ্জন শেখর দাশ, মো. ওমর ফারুক, শাহজাদা মো. ফৌজুল আলেফ খান, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, মো. ইফতেখার ফয়সাল, এস এম তাহসিন জোনায়েদ, দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি সুভাষ মাগার উপস্থিত ছিলেন। পরে নেপালের রাষ্ট্রদূত ওয়ার্ড ট্রেড সেন্টারে চেম্বার কর্তৃক আয়োজিত চলমান ৪র্থ চট্টগ্রাম আইটি ফেয়ার- ২০২৩ পরিদর্শন করেন।
মতবিনিময়কালে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। নেপালের অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়ন করছেন। নেপাল থেকে মসলা, কৃষি বীজ ও হস্তশিল্প আমদানি হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে টেক্সটাইল, পাটজাত পণ্য এবং ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রপ্তানি হয় নেপালে। স্থলবেষ্টিত দেশটিকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে তাদের বৈদেশিক বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণ করার আহ্বান জানান চেম্বার সভাপতি।
চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, চট্টগ্রাম দেশের মোট জিডিপির ২০-২৫ শতাংশ অবদান রাখে। চট্টগ্রামে রয়েছে দেশের উল্লেখযোগ্য ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান। কৃষি ও হস্তশিল্প খাতে দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর নেপালে উৎপাদিন বিভিন্ন পণ্য এদেশের ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সঙ্গে পরিচিত করার ওপর গুরোত্বারোপ করেন। একই সঙ্গে চট্টগ্রামে নেপালি পণ্যের প্রদর্শনী আয়োজন এবং দুই দেশের ব্যবাসায়ীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে চিটাগাং চেম্বার সহায়তা করতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
এমজে/