অনিয়মের কারণে বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের বিষয়ে হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি জানান, এ নির্বাচনের বিষয়ে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এরপরই এ উপনির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনের সব কেন্দ্র সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। ঢাকার নির্বাচন ভবন থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
অনিয়ম ধরা পড়লে ভোট গ্রহণের চার ঘণ্টার মাথায় ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫১টিতে ভোটদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা আগেই পুরো আসনের ভোট বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি দুই ধাপে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এ উপনির্বাচনের বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এটা নিয়ে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেব না। আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। সিদ্ধান্ত নিতে আরেকটু সময় লাগবে।
তবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নতুন তফশিল ঘোষণা করা হবে কি না সেই বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে সাংবাদিকদের আরও অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন সিইসি।