চট্টগ্রামের মহাসড়কে কমে গেছে বাস, যাত্রীদের দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির মহাসমাবেশে যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে গাড়ি তল্লাশি ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহাসড়কের মীরসরাই সদরে চেকপোস্ট বসিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকে হঠাৎ করে মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল কমে যেতে দেখা গেছে। এতে বেড়েছে যাত্রীদের ভোগান্তি।

বিএনপির অভিযোগ, সমাবেশে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় তাদের কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মহাসড়কের বারইয়ারহাট সহ কয়েকটি স্পটে পুলিশের চেকপোস্ট লক্ষ করা গেছে।

বুধবার (১২ অক্টোবর) ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রামমুখী গাড়ি তল্লাশি করছেন।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বারইয়ারহাট উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় সরকারি দলের লোকজন মহড়া দিচ্ছেন। উপজেলার সব বাস, মাইক্রোবাস মালিক ও চালকদের বিএনপির সমাবেশে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশির নামে বিএনপি নেতাকর্মীদের অযথা হয়রানি করছে। বুধবার সকাল থেকে বারইয়ারহাট, জোরারগঞ্জ, ঠাকুরদীঘি, মীরসরাই সদর, বড়তাকিয়া, কমলদহ, ডাকঘর, বড়দারোগাহাটে বিভিন্ন গাড়ি তল্লাশি করে উত্তর দিকে পাঠিয়ে দিচ্ছে সরকারি দলের লোকজন।’ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন তিনি।

এদিকে মহাসড়কে গাড়ি চলাচল কম থাকায় বুধবার ভোর থেকে সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অফিসমুখী মানুষ। চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মীরসরাই সদর বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা আইনুল কবির মাহিন বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৬টা থেকে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। সকাল ৯টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস কম চলাচল করেছে। মাঝে-মধ্যে দুএকটি বাস আসছে, তাও যাত্রীতে ঠাসা। শেষ পর্যন্ত আজ অফিসে যেতে পারবো কিনা বুঝতে পারছি না। এভাবে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।’

উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল কামাল মিটু বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত যেন কোনও ধরনের নাশকতা করে অরাজগতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছি। তবে কাউকে মারধর করিনি। সমাবেশের দিকে যাওয়া কিছু গাড়ি তল্লাশি করে উত্তর দিকে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর হোসেন মামুন বলেন, ‘বারইয়ারহাটে হামলার ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির কোনও নেতাকর্মীর ওপর হামলা করেনি। বিএনপির নিজের গ্রুপিংয়ের কারণে হয়তো হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।’

ইউআর/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img