মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় ঘরমুখো মানুষের চাপে ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে রয়েছে যাত্রীদের ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি মানা তো দূরের কথা মাস্কও পরতে দেখা যায়নি অনেককেই। যদিও শনিবার (০৮ মে) ভোর থেকে এই নৌরুটে সকল ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত যাত্রীদের চাপে কুঞ্জলতা নামে একটি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।
এদিকে ফেরি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও ঘাটে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ। ফলে যাত্রীদের রোষানলে পড়ে ফেরি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকাল সোয়া ৮টায় বাংলাবাজার থেকে ৭টি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে একটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে আসে। সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠে পড়ে। শত নিষেধ সত্ত্বেও গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠে যায় মানুষ। পরে ফেরিটি এই মানুষ নিয়েই ঘাটের অদূরে নোঙর করে রাখে। কিছু সময় পর ফেরিটি ঘাটে ফিরিয়ে জনতাকে নামিয়ে দেয়।
এ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। যাত্রীদের রোষানলে পড়েন ঘাট কর্তৃপক্ষের লোকজন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুসারে পরে ফেরি কুঞ্জলতায় যাত্রীবোঝাই করে মাদারীপুর ঘাটে পাঠানো হয়। এ ছাড়া দুপুর ১২টার পরে আরও দুটি ফেরি ঘাট ছেড়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা অনেক কষ্টে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে আবার হেঁটে পরিবার নিয়ে ঘাটে পৌঁছেছেন। এখন ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। তাই ঘাট এলাকায় অবস্থান করছেন তারা।
এর আগে বিআইডব্লিউটি এর চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, করোনা বিস্তার রোধে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শনিবার (৮ মে) থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে রাতে পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল করবে। তিনি বলেছিলেন, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।