খান বাসা ছাড়ার নোটিশ স্থগিত চেয়ে যে আবেদন করেছিলেন, সেটি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বাসা ছাড়তেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ।
মঙ্গলবার বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন।
আদালতে মোর্শেদ হাসানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
গত ২৯ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা থেকে অব্যাহতি দেওয়া অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বাসা ছাড়তে নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ফুলার রোডের ৩৭ নম্বর আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২৮০০ বর্গফুটের বাসায় থাকছেন মোর্শেদ হাসান খান। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী বাসা ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। পরে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন এবং তাকে চাকরি থেকে অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
২০১৮ সালের ২৬ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকের স্বাধীনতা দিবস সংখ্যায় তার লেখা ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শিরোনামে এক নিবন্ধে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের অভিযোগ আনে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় তাকে বরখাস্ত করার দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও ওই লেখার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেটের এক সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ইউআর/