কক্সবাজারের হোটেল থেকে ১৩ লাখ টাকাসহ আট জুয়াড়িকে আটক করেছে র্যাব। সোমবার (১৩ জুন) রাত ৯টার দিকে কক্সবাজারের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের গণপূর্ত ভবন-৪ এর আল ফাট্টাহ রিসোর্টের পঞ্চম তলার একটি কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ জুয়ার বিভিন্ন সরঞ্জামসহ ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটক জুয়াড়িরা হলেন- আলমগীর হোসেন মুন্না, নবী সুলতান, কবির আহমদ, শামীম আহমেদ, কামাল উদ্দিন, কাজী রাসেল আহমেদ নোবেল, মোহাম্মদ নুর ও রবিউল হোসেন। তাদের মধ্যে মুন্না ও নোবেল স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মঞ্জুর মেহেদী ইসলাম বলেন, ‘অনেকে এখানে এসে জুয়া খেলে নিঃস্ব হয়েছেন। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। এ সময় আনুমানিক ১৩ লাখ টাকাসহ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করা হবে।’
এর আগেও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী রাসেল আহমেদ নোবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার ‘কটেজ জোনের কিং’ খ্যাত নোবেলকে নারীসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে সময় ইয়াবা সেবন করেছিলেন তারা। তার সঙ্গে গ্রেফতার আসমাউল হুসনা মিম ঢাকার দোহারের জয়পাড়ার মৃত আবদুল মজিদের মেয়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, কাজী রাসেলের অপরাধের রাজ্য অনেক বড়। কলাতলী সড়কের পূর্বপাশের প্রতিটি গেস্ট হাউজ এবং ফ্ল্যাট থেকে রাসেলের হয়ে চাঁদা তোলে তার অনুসারীরা। এভাবে প্রতিদিন প্রায় চার-পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা তোলেন রাসেল।
ইউআর/