খাগড়াছড়ির রামগড়ে শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে থানা চন্দ্র পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. বেলায়েত হোসেনকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ মে) রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত এ তথ্য নিশ্চত করে বলেন, ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
ফাতেমা মেহের ইয়াসমিনের স্বাক্ষরে গত শনিবার এ বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার যৌন নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর মা রামগড় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিক্ষক বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
তবে চার দিনেও পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের দাবি, আসামি গা ঢাকা দেওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।
তবে পুলিশি অভিযান চলছে।
এদিকে যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষক বেলায়েতক দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবিতে সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে সোমবার (১৬ মে) সকালে রামগড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
রামগড় লেকপার্কের বিজয় ভাস্কর্য চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাজার এলাকায় রামগড়-খাগড়াছড়ি সড়কের পাশে মানববন্ধন করে তারা।
শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় থানাচন্দ্রপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবারও অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী স্কুলে আসেনি বলে জানিয়েছেন এক শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণসহ গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার স্কুল বয়কট করে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় স্কুল ছুটির পর ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হোমওয়ার্কের কথা বলে শ্রেণিকক্ষে আটকে রেখে সহকারী শিক্ষক বেলায়েত হোসেন ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করেন। একই ভাবে ক্লাস চলাকালে আরও কয়েকজন ছাত্রী ওই শিক্ষকের হাতে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইউআর/