কক্সবাজারে টেকনাফে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে ভাসতে থাকা ৩০ জন রোহিঙ্গাকে দালালসহ আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে মাছ ধরার ট্রলারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন-জায়নুব, মো. সালমান, ইসমত আরা, নুরকলিমা, হাসিনা, রাসেদা, আছমা, ছোনোয়ারা, রাবেয়া, রমজানা, দিন খায়াজ, রাইজু, নুর চাদেকা, মোশারফা, রফিকা, নুর ফাতেমা, রোকিয়া বেগম, তসলিমা, ইয়াসমিন, তাসলিমা, মো.হাফসা, আরকান বিবি, চোমুদা খাতুন, সুমাইরা, মো. জমির, আবুল ফোয়েজ, মোস্তেফা, রাসেল, ইউনুস, রায়হান। তারা সবাই উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। এদের মধ্যে চার জন দালাল ও চার জন শিশু রয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তর মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার বিএন আমিরুল হক জানান, সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে ট্রলারটি টেকনাফ সৈকত আসে। সেখান থেকে দালালসহ ৩০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দালালসহ রোহিঙ্গাদের বহনকারী ট্রলারটি সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে ডাকাতের কবলে পড়ে। এসময় ডাকাতরা তাদের মালপত্র লুট করে ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট করে দেয়। পরে তারা ভেসে ভেসে কূলে ভিড়লে তাদেরকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে আইনি প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মৌওলনা আজিজ উদ্দিন জানান, তার এলাকা থেকে ট্রলারসহ ৩০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় তারা ধরা পরেছে।
টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ ফাড়ির কর্মকর্তা পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ জানান, সাগরে পথে মালয়েশিয়াগামী ৩০ জন রোহিঙ্গাসহ একটি ট্রলার আটক করা হয়েছে। তারা মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করছিল কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
প্রসঙ্গত, দুই মাস সাগরে ভেসে গত বছরের ১৫ এপ্রিল রাতে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও মিয়ানমারে প্রবেশে ব্যর্থ হলে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নে জাহাজপুরা ঘাট থেকে ৪০০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছিল বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা।