গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু আরও কমছে। এ সময়ে মারা গেছেন ১১৪ জন। গতকালও মৃ্ত্যুর সংখ্যা একই ছিল, যা আট সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২৯ জুন ১১২ জনের মৃত্যু হয়। তার পরের দিন ১১৫ জনের মৃত্যু হয়। এরপর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এক দিনে ২৬৪ তে গিয়ে ঠেকে।
এদিকে গত একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৬৬ জন। এতে ৬৯ দিন পর শনাক্তের হার কমে ১৫ শতাংশের নিচে নেমেছে। এর আগে গত ১৬ জুন শনাক্তের হার প্রথমবারের মতো ১৫ শতাংশ ছাড়ায়।
বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ৬৪০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হন ৪ হাজার ৯৬৬ জন, যাতে দৈনিক শনাক্তের হার কমে ১৪.৭৬ হয়েছে। গতকাল এ হার ছিল ১৫.১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ ছাড়ায়। সেদিন ৩ হাজার ৯৫৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যাতে শনাক্তের হার হয় ১৬.৬২ শতাংশ। তার আগেরদিন ১৫ জুন ছিল ১৪.২৭ শতাংশ। ১৪ জুন ছিল ১৪.৮০ শতাংশ। এরপর শনাক্তের হার বাড়তে বাড়তে ৩২.৫৬ পর্যন্ত হয়।
এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৩০ জন। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট গড় হার ১৬.৮৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের পুরষ ৬২ জন পুরুষ এবং ৫২ জন নারী। এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ২৫ হাজার ৬২৭ জন।
অন্যদিকে করোনা থেকে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৮০৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫৭১ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসজুড়ে পরিস্থিতি বেশি মারাত্মক পর্যায়ে থাকলেও গত কয়েক দিন ধরে পর্যায়ক্রমে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা।