আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: অনেকেই এখন নব্য আওয়ামী লীগার সেজেছে, অথচ কথায় কথায় তারা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার পক্ষে কথা বলে, শ্লোগান দেয়, প্রসংশা করে। কিন্তু এটা কি তাদের মনের কথা?
১৫ আগস্টের আগে নব্য আওয়ামী লীগারদের অনেকেই মুজিব কোট পড়তো, কিন্তু ১৫ আগস্টের পর তাদের অনেকেই মুজিব কোট লুকানোর চেষ্টায় ছিল এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন: বঙ্গবন্ধুর খুনি মোশতাকের চোখের জলের কথা জাতি এখনও ভুলে যায়নি, তাই অতি আপনজন সাজার কোন প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন: আজ ভয় হয় যখন দেখি সচিবালয়ের চারদিকে বিলবোর্ড; পোস্টারে আকাশ ঢেকে যায়, কারণ ১৫ আগস্টের আগেও দলে ফুল ও মিছিল নিয়ে এসেছে। তোয়াজ-শোষণের ফল এবং পরিণতি শুভ নয়, শেখ হাসিনার সরকার চায় স্বচ্ছতা, সততা ও নিরপেক্ষতা।
সরকারি কর্মকর্তা বা প্রশাসকদের সাথে রাজনীতিকদের একটা সুসম্পর্ক থাকতে হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন: রাজনীতিকরা সিদ্ধান্ত দিবেন আর তা বাস্তবায়ন করবেন সরকারি কর্মকর্তারা।
সচিবালয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মোঃ খাইরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ।