ফুলের রানি পদ্ম। তবে নীল কিংবা গোলাপি নয়, এবার সাদা পদ্মের দেখা মিলবে তানোর উপজেলা সীমানাবর্তী চৌবাড়িয়া ইটভাটার পাশে আন্দাশুরা বিলে। শরতের ফুল হলেও বর্ষাতেই তার সৌন্দর্য ও শুভ্রতার প্রতীক নিয়ে হাজির হয় পদ্ম। প্রকৃতিতে নিজের রূপবৈচিত্র্য অকাতরে বিলিয়ে দিচ্ছে জলাভূমি ও বিলে-ঝিলে ফুটে থাকা এ জলজ ফুলের রানি।
সরজমিনে দেখা গেছে, এই পদ্ম সৌন্দর্য বাড়িয়ে বদলে দিয়েছে বিলের চিত্র। প্রতিদিনই এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন দর্শনার্থীরা। বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ) বারসিক-এর সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা অমৃত কুমার সরকার বলেন, ‘সাদা পদ্ম ফুল এখন অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে। এর সংরক্ষণ প্রয়োজন। সাদা পদ্ম ওষুধি গুণসম্পন্ন ফুল। শ্বেত রোগ ভালো করে। হৃদরোগ ঝুঁকি ও যন্ত্রণা কমায়।
কেবল পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে নয়, ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ এই পদ্ম সংরক্ষণের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে আমরা এর যে কাণ্ডটি আছে সেটাকে যদি এনে পুকুরে লাগাই তাহলে এখান থেকে প্রচুর উত্পাদন করা সম্ভব।’ তানোরের তাঁতিয়ালপাড়া গ্রাম থেকে আন্দাশুরা বিল দেখতে আসা দর্শনার্থী বাপ্পী দাস বলেন, ‘এক কথায় অনবদ্য। এমন সুন্দর সাদা পদ্ম দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।’ আরেক দর্শনার্থী বিপুল কুমার মনি বলেন, ‘দূর থেকে এমন সুন্দর সব পদ্ম দেখে আর থামতে পারলাম না। ছোট্ট নৌকা নিয়ে গোল গোল পদ্মপাতা ও পদ্মফুল তুলে আনলাম। সত্যি এ এক অন্যরকম অনুভূতি।’
আন্দাশুরা বিলের পাশে বিনোদন পার্কের উদ্যোক্তা মন্টু সোনার জানান, ৫০ বিঘা জমি নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন ফলদ, বনজ গাছের পাশাপাশি ছোট ছোট পুকুর তৈরি করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। পুকুরে থাকছে ছোট্ট ছোট্ট ডিঙি নৌকা। থাকবে পদ্মসহ জলজ ফুল। পুকুরের পাড় ঘেঁষে ইতিমধ্যে সৌন্দর্য মণ্ডিত ফল-ফুলের বাগান তৈরি করার কাজ চলছে। আর দর্শনার্থীদের বসার জন্যও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, ‘আন্দাশুরা বিলটিকে আরো সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন করার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রকল্প হাতে নেব।’