নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার ২নং দূর্গাপুর ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ড আড়াইওরা একই এলাকায় বাসিন্দা হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজ খতিয়ান ভুক্ত জমির মালিক জমি দাবী করলে সুজিত কুমার দাস(৬৪)এর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন জোর পূর্বক জমি দখলদারেরা।
পরিবারটি জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করলেও দখলে নিতে সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে। যা মামলা দে নং-১৭৩/২০২৩ ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ২৫ মে ২০২৪ কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,দেবেন্দ্র চন্দ্র দাস এর পুত্র নরেশ চন্দ্র দাস(৫০), সুনিল চন্দ্র দাসের পুত্র নয়ন চন্দ্র দাস(৪৮),ঊষা রঞ্জন দাসের পুত্র উজ্জ্বল চন্দ্র দাস (৫২),রাখাল চন্দ্র দাসের পুত্র শিপন চন্দ্র দাস(৩২),দীনেশ চন্দ্র দাসের পুত্র প্রদীপ চন্দ্র দাস(৩৫),অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী খুবই খারাপ এবং উশৃংখল প্রকৃতির লোক , যা বিভিন্ন ছবিতে প্রতিয়মান, তারা সমাজ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, প্রচলিত আইন অমান্যকারি।
আমাদের বসতবাড়ি,২নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের আড়াইওরা মৌজার আর এস দাগ-৪৮৬ ও ৪৮৭,বিএস দাগ নং-১৯০৮,জায়গার পরিমাণ ১০শতক ভূমি। বর্ণিত ঘটনাস্থল খালি জায়গা আমার ওয়ারিশ সূত্রে বহু যুগ ধরে মালিক হইয়া ভোগ দখলে বহাল রয়েছি। অপরদিকে নরেশ চন্দ্র দাস ও নয়ন চন্দ্র দাসসহ আরো কয়েক জন মিলে অসৎ উদ্দেশ্যে আমাদের হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতির সুযোগ নিয়ে আমাদের মালিকানাধীন জায়গায় বেআইনিভাবে দখলের উদ্দেশ্যে রাতের আঁধারে টিনের বেস্টনী নির্মাণ করিয়া তাহার ভিতর পরিত্যক্ত ভাঙ্গা ছোট মূর্তি রাখিয়া মন্দির স্থাপনের ঘোষণা দেয় এবং ভোগ দখলকৃত জায়গা প্রতিপক্ষ দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। আমাদের বাড়ির ৫০ গজ পূর্ব দিকে শ্রী শ্রী হরির মন্দির আছে তাহা থাকা সত্ত্বেও নরেশ চন্দ্র দাস ও নয়ন চন্দ্র দাস সহ কথিত লোকজন নতুন মন্দির স্থাপনের চেষ্টা করিতেছে।
অভিযুক্ত নরেশ চন্দ্র দাস অভিযোগের ব্যাপারে বলেন,আমি দেখছি এইখানে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা পূজা করতো, ১খতিয়ানের,কোন ব্যক্তির নামে নয়,আরো বলেন আমরা জেলা প্রশাসন মহোদয় বরাবর আবেদন করে রেখেছি তাছাড়া মামলাও চলমান রয়েছে।
স্থানীয় ছোটন নামের এক ব্যক্তি জানান আমাদের ঠাকুর কে এইভাবে অযত্নে অবহেলায় ফেলে রেখে,এটা কোন মন্দির হতে পারেনা।
অপর দিকে বিবাদী নরেশ চন্দ্র দাস মন্দির স্হাপনে বাধা দিচ্ছে বলে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন, এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রাকিব বলেন, আমি সরে জমিনে তদন্তে করছি, এবং উভয় পক্ষকে বলছি যেহেতু আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, আদালতের রায় আসা পর্যন্ত কোন সংগাত সৃষ্টি করা যাবেনা,
ইউপি সদস্য আসলাম খান, বলেন,এখানে কোন মন্দির ছিলো না,তবে জমি নিয়ে বিরোধ আছে এটা আমি অবগত আছি।
দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ইউনিয়ন ভুমি উপ সহকারী কর্মকর্তা সাইফুল নেওয়াজ তার প্রতিবেদনে বলেন, ১৯০৮ দাগে বি এস খতিয়ানের সম্পত্তিটি অর্পিত সম্পত্তি নহে, আর যেহেতু আদালতের মামলা দায়ের রয়েছে তাই এর উপরে কথা বলার সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে আদর্শ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মেহেদী হাসান কে এই বিষয় জানার জন্য ফোন করলে উনাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।