২.৭৫ শতাংশ মানুষ ছিল গণনার বাইরে, শীর্ষে সিলেট-ময়মনসিংহ

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। তবে প্রাথমিক গণনায় বাদ পড়েছিলেন ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন। তাদের যুক্ত করে চূড়ান্ত ফলাফলে দেশের জনসংখ্যা বেড়ে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জনে দাঁড়িয়েছে।

জনশুমারি ও গৃহগণনার চূড়ান্ত রিপোর্টে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত সাময়িক প্রতিবেদনের ওপর ‘পোস্ট ইনিউমেরেশন চেক (পিইসি) অব দ্য পপুলেশন অ্যান্ড হাউজিং সেন্সাস ২০২২’ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে অংশ নেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।

বিআইডিএস প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গণনায় সব থেকে বেশি বাদ পড়েছিল সিলেট বিভাগে ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এছাড়া বরিশালে ২ দশমিক ৬১, চট্টগ্রামে ২ দশমিক ৭৩, ঢাকায় ২ দশমিক ৭৭, রাজশাহীতে ২ দশমিক ০৬ এবং রংপুরে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ মানুষ প্রাথমিক গণনায় বাদ পড়েছিলেন। বন্যার কারণে সিলেট ও ময়মনসিংহে বেশি মানুষ গণনার বাইরে ছিলেন।

এছাড়া প্রাথমিক জনগণনার সময় শহরে ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং গ্রামে ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ মানুষ বাদ পড়েছিলেন। উপজেলা সদরে ২ দশমিক ৬২, পৌরসভায় ২ দশমিক ৯৯ এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ মানুষ বাদ পড়েছিলেন।

প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, এবারের জনশুমারিতে সব থেকে কম মানুষ বাদ পড়েছেন। সব থেকে বেশি বাদ পড়েছিলেন ২০০১ সালের জনশুমারিতে ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং ২০১১ সালের জনশুমারিতে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। তবে ২০২২ সালের জনশুমারিতে মাত্র ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষ বাদ পড়েছেন।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, প্রাথমিক গণনায় যারা বাদ পড়েছিলেন তাদের সবাইকে গণনার মধ্যে নেওয়া হয়েছে। এজন্যই আমরা এই কাজ সম্পাদন করেছি। এখন কেউ বলতে পারবেন না যে কেউ বাদ পড়েছেন। মূলত বন্যার কারণে সিলেট এলাকায় বেশি মানুষ গণনার বাইরে ছিলেন। এছাড়া শহর এলাকায় বেশি মানুষ গণনার বাইরে ছিলেন। কারণ দেখা যায়, শহরে অনেকের বাসায় প্রবেশ করা যায় না। এছাড়া অনেকে কাজের জন্য সকাল সকাল বাসার বাইরে চলে যান।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img