ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আরেক পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।তার নাম মাহমুদ আলম।
এই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্তের খবর জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার জসিমউদ্দীন।
বুধবার জসীম বলেন, মঙ্গলবার তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ হয়।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৮ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হলো। সর্বশেষ গত ২৭ নভেম্বর দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিতে গিয়ে আহত হওয়া পুলিশ কনস্টেবল নুরে আজাদকে বরখাস্তের কথা জানিয়েছিলেন উপকমিশনার জসিমউদ্দীন।আজাদ ডিএমপির প্রসিকিউশন রিজার্ভ ইউনিটের সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া জয়নাল নামের এক কনস্টেবলকে বরখাস্তের কথাও জানান তিনি।
এর আগে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তের কথা জানানো হয়েছিল। তারা হলেন- ঢাকার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনচার্জ এসআই নাহিদুর রহমান, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শরিফুল হাসান ও কনস্টেবল আব্দুস সাত্তার।
উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশকে মারধর করে তাদের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি সুনামগঞ্জের ছাতকের মইনুল হাসান শামীম ও লালমনিরহাটের আদিতমারীর আবু ছিদ্দিক সোহেলকে ছিনতাই করে নিয়ে যায় তাদের সহযোগী জঙ্গিরা।
এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পলাতক দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিলে ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ। সারা দেশে জারি করা হয়েছে ‘রেড অ্যালার্ট’। দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলাও করেছে পুলিশ। মামলায় রোববার রাতেই ১০ আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।