গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর চেয়ে কম ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল ২৮ মার্চ। এরপর গত ৩৮ দিনে এর নিচে নামেনি। বৃহস্পতিবার কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪১। এ নিয়ে আজ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ হাজার ৮৩৩ জন।
এসময় অ্যান্টিজেনসহ ১৭ হাজার ১৩টি নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৬৮৩ জন। সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ১৭৮ জন। শনাক্তের গড় ৯.৮৯ এবং প্রতি একশ জনে মৃত্যুর গড় ১.৫৪। প্রতি একশ জনে সুস্থতার হার ৯১.৩৭।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশে বর্তমানে ৪২৮টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এরমধ্যে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ১২৭টি পরীক্ষাগারে, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৩৫টি পরীক্ষাগারে এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ২৬৬টি পরীক্ষাগারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৭১ জনের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন, আর নারী ১৪ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেছেন আট হাজার ৫৮৯ জন এবং নারী তিন হাজার ২৪৪ জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ২০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আছেন পাঁচজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন আছেন।
এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৯, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জন, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের দুইজন করে এবং খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন করে।
৩৭ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন, বেসরকারি হাসপাতালে আটজন এবং বাড়িতে মারা গেছেন একজন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১ মে তা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে সময় টানা চার দিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একশর ওপরে।