একুশে পদকজয়ী প্রবীণ চিত্রশিল্পী ও শিক্ষক সমরজিৎ রায় চৌধুরী আর নেই।রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুরে তিনি মারা গেছেন।তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
সমরজিৎ রায়ের ছেলে সুরজিৎ রায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার বাবা হৃদরোগ আর ফুসফুসের জটিলতায় ভুগছিলেন।
তিনি বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।১২ সেপ্টেম্বর উনাকে বাসায় নিয়ে আসি, তার তিন দিন পর ১৫ সেপ্টেম্বর আবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আজ দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসক জানান উনি আর নেই।
সুরজিৎ রায় জানান, পরিবারের সবাই হাসপাতালে আসার পর শেষকৃত্যসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।
১৯৩৭ সালে কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন সমরজিৎ রায় চৌধুরী।১৯৬০ সালে তিনি তৎকালীন সরকারি আর্ট ইনস্টিটিউট (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান চারুকলা অনুষদ) থেকে গ্রাফিক ডিজাইনে স্নাতক শেষ করেন।স্নাতক শেষ করে চারুকলা অনুষদেই শিক্ষকতায় যোগ দেন সমরজিৎ, ৪৩ বছর সেই দায়িত্ব পালন করে ২০০৩ সালে অধ্যাপক হিসেবে অবসরে যান।সেখানে তিনি শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসানের মতো শিল্পীদের।
এরপর ২০১০ সাল পর্যন্ত শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির চারুকলা এবং প্রদর্শন কলা বিভাগের ডিন হিসেবে কাজ করেন।
১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান লেখার পর অলংকরণের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যার প্রধান ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। এই কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করছিলেন সমরজিৎ রায়।
সমরজিৎ রায় গ্রাফিক ডিজাইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করলেও নিজেকে একজন সৃজনশীল শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ২০১৪ সালে শিল্পকলায় একুশে পদক লাভ করেন তিনি।
ইউআর/