চীন থেকে প্রথম উৎপত্তি হওয়ার পর বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগ ৮ই মার্চ, ২০২০ সালে বাংলাদেশে শনাক্ত হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
২০২০ সালের ৮ ই মার্চ প্রথম বাংলাদেশে ভাইরাস শনাক্তের পর ধীরে ধীরে এর হার ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে। এই মরণঘাতি ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক অবস্থা পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। এর ফলে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ কাজ হারিয়ে মানবেতর দিনযাপন করছে মানুষ। এর প্রভাব সকল ক্ষেত্রেই পড়েছে। কত মানুষ যে না খেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে তার কোন হিসাব নাই।
এমতাবস্থায় আশানুরূপ ভাবে বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা আবিষ্কার করতে অনেক চেষ্টার পর সফল হয়েছে। এরপর থেকেই বিভিন্ন দেশের এই করোনা প্রতিরোধ টিকা প্রয়োগ করা হয়। ধাপে ধাপে বাংলাদেশেও টিকা দেওয়া হয়েছে। ১ম ২য় ও তৃতীয় ডোজ টিকার প্রয়োগ এখনো চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে সরকার ৫ থেকে ১১ বছর শিশুদের টিকা দেওয়া পরিকল্পনা করছে।
তবে তা অবশ্যই রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় আসতে হবে। এমতাবস্থায় এই টিকার আওতার বাহিরে রয়েছে দেশের ভাসমান শিশুরা, কারণ বর্তমানে কত শিশু ভাসমান তা সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে কারও কাছে সঠিক তথ্য নাই। আর এদের তথ্য জানার বিষয়ে সরকারের নেই কোন তৎপরতা।
ফলে তারা দেশের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা এবং মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হচ্ছে এই শিশুরা। তাই সরকারে পক্ষ থেকে এই ভাসমান পথশিশুদের তালিকা তৈরী করে তাদের সকলকে করোনা প্রতিরোধ টিকার আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় এই মরণব্যাধি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তাদের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে।
লেখক: শিশুবন্ধু মুহাম্মদ আলী