শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশে যাত্রী এসেছে ৭০ জন। এদের পাঠানো হয়েছে খুলনার বিভিন্ন হোটেলে। গত ৬ দিনে সবমিলে দেশে ফেরত আসা যাত্রীর সংখ্যা ১ হাজার ২৬ জন। দেশে ফেরত আসা এসব যাত্রীদের মধ্যে করোনা শনাক্ত পাওয়া গেছে ৭ জন। তাদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশি যাত্রীদের চাপে ভরে গেছে বেনাপোলের আবাসিক হোটেল ও মাদরাসা। চাপ সামলাতে শনিবার থেকে দেশে ফেরা যাত্রীদের ৭৫ কিলোমিটার দুরে জেলা সদর নড়াইলের পর এবার নেয়া হচ্ছে খুলনায়।
রোববার (২ মে) দুপুর ১টার মধ্যে দেশে ফিরেন আরও প্রায় ৮০ জন বাংলাদেশি। এদের বিশেষ ব্যবস্থায় খুলনায় নেয়া হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত দেশে ঢুকেছে ৯৪৬ জন। প্রথম তিনদিনের প্রায় ৬ শতাধিক যাত্রীকে রাখা হয় বেনাপোলের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে। বেনাপোলে পর্যটন মোটেলসহ হোটেলের সংখ্যা ১২। স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২৯ তারিখ দেশে ফেরত আসা যাত্রীদের রাখা হয় ঝিকরগাছার গাজীর দরগা মাদ্রাসায়। ৩০ তারিখের যাত্রীদের পাঠানো হয়েছে নড়াইলের বিভিন্ন হোটেলে।
সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে ফেরত আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা আগত যাত্রীদের সার্বিক দেখাশোনার জন্য চেকপোস্টের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে মনিটরিং সেল বসিয়ে দেখা শোনা করছেন।
বেনাপোলের পোর্টভিউ হোটেলের সত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব ওয়াজেদ আলী জানান, আজ থেকে তার হোটেলে অবস্থান নেয়া প্রায় ৫০ জন রোজাদার যাত্রীকে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সন্ধ্যায় ইফতার এবং রাতে সেহরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সকল রোজাদার যাত্রীদের খাবার দেয়া অব্যাহত থাকবে।