শ্রীপুরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মামুন (২৫) নামের এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। সে উপজেলার বরামা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নদীতে অভিযান চালিয়েও মামুনের সন্ধান পায়নি। রবিবার (৩ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের শীতলক্ষ্যা নদীর রায়েদ গুদারা ঘাট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মামুনের বড় ভাই মাসুম বলেন, রবিবার বিকাল চারটার দিকে মামুন বাড়ি থেকে বের হয়ে দোকানে ইফতার আনতে যায়। শ্রীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাকিল আহম্মেদের সঙ্গে তার দেখা হয়। এএসআই শাকিল আহাম্মদসহ সাদা পোশাকের ২-৩ জন পুলিশ এবং সোর্স রৌশন মামুুনকে ধরার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য দৌড় দেয় সে। পরে পুলিশ তাকে ধরে মরাপিট করলে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দেয় মামুন। সাঁতার কেটে নদী পার হওয়ার সময় মাঝ নদীতে তলিয়ে যায় সে। নদীর তীরে উপস্থিত স্থানীয়রা মামুনকে পানিতে তলিয়ে যেতে দেখতে পান। আমি নিজেও ভাইকে মাঝ নদীতে দুই হাত উপরে তোলে বাঁচার চেষ্টা করতে দেখেছি।
মাসুম অভিযোগ করেন, এএসআই শাকিল আহাম্মদ ইতিপূর্বে একাধিকবার মামুনকে আটক করেছেন, মামলাও দিয়েছেন। এতে মামুনের মনে পুলিশি ভীতি কাজ করতো সবসময়। তাই সে পুলিশ দেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল।
এদিকে পুলিশের ধাওয়ায় মামুন নদীতে তলিয়ে যাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে রাতেই শ্রীপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান মেলেনি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শ্রীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাকিল আহাম্মদকে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তবে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া বলেন, মামুন দুটি মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি জামিনে বের হয়েছিল। সে শ্রীপুর থানার চুরি (২৬(৬)২১) মামলার পলাতক আসামি। ওই এএসআই এর আগেও মামুনকে একই মামলায় একাধিকবার গ্রেফতার করতে গিয়েছিল। রবিবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামুনকে গ্রেফতারে পুনরায় অভিযান চালালে মামুন পুলিশ দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ইউআর/