ভবিষ্যতের মাশরাফি-সাকিব খুঁজতে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ৩৪৮ স্কুলের ৭ হাজার খুদে ক্রিকেটার নিয়ে নতুন মোড়কে মাঠে গড়াবে জাতীয় স্কুল ক্রিকেট। জেলা পর্যায়ে ৫৮১ ম্যাচ। এরপর জেলা চ্যাম্পিয়নদের অংশগ্রহণে হবে বিভাগীয় রাউন্ড, সেখানে হবে ৫৭ ম্যাচ। ৭ বিভাগ ও ঢাকা মেট্রো চাম্পিয়নদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ন্যাশনাল রাউন্ড। সব মিলিয়ে ৬৪ জেলায় মোট ৬৫৩ ম্যাচ।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার আছেন, যারা স্কুল ক্রিকেটের মাধ্যমে তাদের ক্রিকেটের বীজ বপন করেছিলেন। সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে পরে তারা তারকা কিংবা মহাতারকা হয়েছেন। এজন্যই স্কুল ক্রিকেটকে প্রত্যেকটি ক্রিকেটারের স্বপ্নের প্রথম সিঁড়ি ভাবা হয়। জাতীয় দলের পাশাপাশি বয়সভিত্তিক দলগুলোতে প্রতাপ রয়েছে স্কুল ক্রিকেটের। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলে থাকা শাহাদাত হোসেন দিপু, অভিষেক দাস, রাকিবুল হাসান ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী স্কুল ক্রিকেট থেকেই উঠে এসেছেন।
২০২০ সালে ৫৫৬ স্কুলের প্রায় ১১ হাজার খুদে ক্রিকেটার নিয়ে মাঠে গড়ালেও এবার স্কুল সংখ্যা ও ক্রিকেটার সংখ্যা কমেছে। টুর্নামেন্টকে আরও আকর্ষণীয় করতেই দলের সংখ্যা কমানো হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ওবেদ রশিদ নিজাম।
আজ (শনিবার) বিসিবির সংবাদ সম্মেলন কক্ষে স্কুল ক্রিকেটের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে নিজাম বলেছেন, ‘আমরা চাই স্কুল ক্রিকেট থেকে উঠে আসা প্রতিভা যেন হারিয়ে না যায়। প্রতিভাবান ছেলেগুলো যাতে খেলার মধ্যে থাকতে পারে সেজন্য স্কলারশিপ চালু করছি। এবার আমরা কিছু স্কুল কমিয়েছি। যেসব স্কুলে ক্রিকেট নিয়মিত চর্চা হয় এবং নূন্যতম মান আছে- তাদেরকেই আমরা রেখেছি। তবে কোনও স্কুল যদি বাদ পড়ে, সেখানকার অন্তত ৫ জন ক্রিকেটার অন্য স্কুল থেকে খেলতে পারবে।’
মেয়েদের স্কুল ক্রিকেট হলে সেখানেও থাকার আশা পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান ও. রশীদের, ‘করানোর কারণে মাঝে এক বছর বন্ধ থাকলেও আমরা নতুন করে টুর্নামেন্টটি শুরু করতে পেরেছি। বিসিবি ভবিষ্যতে নারীদের নিয়ে স্কুল ক্রিকেট শুরু করলে আমরা সেখানেও থাকবো।’
ইউআর/