বরিশালের চলমান সমস্যা সমাধানে বিভাগীয় কমিশনারের বাসভবনে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বরিশালের সিটি মেয়রসহ আওয়ামী নেতৃবৃন্দের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বরিশালের চলমান সৃষ্ট সমস্যা অবসানের ইঙ্গিত দিয়েছে। সেই সঙ্গে গভীর রাতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
রোববার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ভুল বুঝাবুঝির অবসান এবং পুলিশ ও ইউএনও’র দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর।
একইভাবে গভীর রাতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভুল বুঝাবুঝির কারণে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল তার অবসারণকল্পে বরিশাল বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগনের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অতীতের সকল ভুল বুঝাবুঝি ভুলে নান্দনিক বরিশাল গড়ার লক্ষ্যে নগর প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন ঐক্যবদ্ধ ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু বলা না হলেও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, জরুরি ওই বৈঠকে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম, ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, র্যাব সিইও মো. জামিল হোসেন, জেলা প্রশাসক জসীমউদ্দিন হায়দার, পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটুসহ মোট ১১ জন উপস্থিত ছিলেন।
বরিশালে চলমান সমস্যা সমাধানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর নির্দেশে বিভাগীয় কমিশনারের আহবানে রাতে তার সরকারি বাসভবনে এক চা চক্রের আমন্ত্রণ ছিল মেয়রসহ স্থানীয় আওয়ামী নেতৃবৃন্দের। সেখানে যাওয়ার পর নৈশভোজের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় সেখানে চলমান সমস্যার বিষয়ে ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয় এবং পুলিশ ও ইউএনও করা মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে ইউএনও সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দু’টি মামলার বিষয়েও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়। এই সমঝোতা ও সিদ্ধান্তে উভয়পক্ষ সন্তুষ্ট হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সাঁটানো ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ৬০২ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে। এরপরই গতকাল রোববার আওয়ামী লীগ ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আদালতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়।