দেশে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৫ জন মানুষ করোনা (কোভিড-১৯) টিকা নিয়েছেন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৬২ লাখ ৫৬ হাজার ৩০২ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ১২০ জন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে পুরুষ ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার ২১৯ এবং নারী ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৬ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে পুরুষ ২৭ লাখ ৪৬ হাজার ১২৯ এবং নারী ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৯৯১ জন।
এরমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নিয়েছেন দেশের ১ কোটি ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৯৪ জন মানুষ। চীনের সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৭৫ জন। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৬৬ জন। আর মডার্নার টিকা নিয়েছেন ২৬ হাজার ৬৯০ জন।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫১ এবং নারী ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ২৪৩ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৪২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৬১ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৩৩ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ২৭ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭২ এবং নারী ১৫ লাখ ৫১ হাজার ২৮৯ জন। আর প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৭৯ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে চীনের সিনোফার্মের টিকার প্রয়োগ ১৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে গণটিকাদান কর্মসূচিতে অদ্যাবধি এ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১১ হাজার ৫৩২ এবং নারী ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৩ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৬ জন প্রথম ডোজ এবং ২ হাজার ২৫৯ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ২ লাখ ৯ হাজার ৯৭৫ এবং নারী ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪১ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী ১ হাজার ৫৫৭ জন পুরুষ এবং নারী ৭০২ জন।
ঢাকার ৭টি কেন্দ্রে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৬৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৩১ হাজার ৮২ ও নারী ৫ হাজার ৪৮৪ জন। গত ২১ জুলাই এই টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। এরপর গত ১ জুলাই থেকে ফাইজারের প্রথম ডোজ গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
এদিকে আজ থেকে দেশের সিটি কর্পোরেশনগুলোতে মডার্নার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। এই টিকা নিয়েছেন ২৬ হাজার ৬৯০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৮৩ ও নারী ১০ হাজার ৬০৭ জন।