যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল আশা করছেন, আসন্ন টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা ভালো ফল অর্জন করবে।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকার জাপান দূতাবাস আয়োজিত অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা ও আন্তরিক দিকনির্দেশনায় দেশের ক্রীড়াঙ্গন নতুন নতুন ইতিহাস রচনা করে চলেছে। এবার সময় এসেছে বিশ্ব অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ের ইতিহাস রচনা করার। আমাদের আর্চার রোমান সানা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক গেমসে সরাসরি অংশগ্রহণের গৌরব অর্জন করেছে। আমি আশা করি, বাংলাদেশ আসন্ন টোকিও অলিম্পিকে তাদের সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দিবে এবং বিশ্ব মঞ্চে লাল সবুজের পতাকা উড়াতে সমর্থ হবে। আমি বাংলাদেশ দলকে আন্তরিক শুভকামনা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ দলকে জাপান সরকারের পক্ষ হতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেবেন ৬ জন। তারা হলেন দুই আরচার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী, দুই সাঁতারু আরিফুল ইসলাম ও জুনাইনা আহমেদ, অ্যাথলেট জহির রায়হান ও শ্যুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকি।
ভার্চুয়াল আলোচনায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের কর্মকর্তা বৃন্দ, কোচ ও অলিম্পিকে মনোনীত অ্যাথলেটরা যোগ দেন।
গেল বছর ২৪ জুলাই টোকিও অলিম্পিক শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনা মহামারির কারাণে আসরটি স্থগিত করে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুায়ী চলতি বছরের ২৩ জুলাই পর্দা উঠবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞের। ৮ আগস্ট শেষ হবে এই আয়োজন।