চট্টগ্রাম মহনগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকায় সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) দেখতে বের হয়ে আটক হয়েছেন ২১ জন। এ সময় আটক করা হয় পাঁচটি গাড়ি এবং জরিমানার আওতায় আনা হয় ১০টি গাড়িকে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে থানার আগ্রাবাদ মোড়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সানা শামিমুর রহমান, উপ-কমিশনার (পশ্চিম) আব্দুল ওয়ারীশ, সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং) মাহমুদুল হাসান মামুন ও ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন।
জানতে চাইলে ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সকাল থেকে ডবলমুরিং থানা এলাকায় একটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়াও পাঁচটি টহল টিম কাজ করেছেন।
এ সময়ে লকডাউনের অবস্থা দেখতে বের হওয়া ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও পাঁচটি গাড়ি আটক ও ১০টি গাড়িকে মামলা দেয়া হয়েছে। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার ১ থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।
এ সময় জরুরিসেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকবে। গণমাধ্যমসহ কিছু জরুরিসেবা এ বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে যারা চলাচল করতে পারবেন তারা হলেন- আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন।