করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। কিন্তু এ যেন নামেই সর্বাত্মক লকডাউন। বাস্তবে এর চিত্র ভিন্ন। গণপরিবহন ছাড়া, সড়কে চলছে প্রায় সব ধরনের গাড়ি।
এমনকি রাজধানীর কোন কোন সড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপও দেখা গেছে।
সকালে কিছুটা কড়াকড়ি থাকলেও, বিকেলে শুরু হয় ঢিলেঢালা লকডাউন। আজ বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, আগের মত নেই পুলিশের চেকপোস্ট। কোথাও কোথাও চেকপোস্ট থাকলেও পুলিশের উপস্থিতি ছিল না।
বরং চেকপোস্ট ফেলে রাস্তা জ্যাম করা ছাড়া আর কোন ফলই চোখে পরেনি।
সিএনজি, অটোরিকশা আর মোটরসাইকেলে আরোহীদের দৃশ্য ছিল চোখে পরার মত।
অবশ্য কোথাও কোথাও চেকপোস্টে রিকশা উল্টে রাখার দৃশ্যও চোখে পরেছে। যেন এই লকডাউন শুধু গরিবেরই অপরাধ।
রাজধানীর মিরপুর কচু ক্ষেত এলাকার মোসলেম উদ্দিন নামক এক রিকশা চালক বলেন “আমগো দোষ কি? আমরা তো পেটের দায়ে ঘর থিকা বাইর হইছি। সরকার আমগো খাওন দিক। আমরা আর বাইর হমু না। সকালে চল্লিশ ট্যাকা ভাড়া মারছি, এহন তিন ঘন্টা হইল আমারে আটকায়া রাখছে। আমগো গুল্লি কইরা মাইরা ফেলতে কন স্যার”।
উল্লেখ্য গত ১৪ ই এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনের সময় বেড়েছে আরও সাত দিন। সেই সাথে সড়কে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি। কেউ কেউ বলছেন, পরিকল্পনাহীন লকডাউন দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করা ছাড়া বিশেষ কোন লাভ হবে না।
এদিকে লকডাউনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ভূমিকাও হয়ে উঠেছে প্রশ্নবিদ্ধ।