সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় করোনা রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। মে’র প্রথম সপ্তাহে ১২ শতাংশ রোগীর দেহে করোনা জীবাণু পাওয়া গেলেও মাস শেষে বেড়ে ৪৯ শতাংশে দাঁড়ায়। বাজার-ঘাট ও বিপণিবিতানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ঈদের আগে বিভিন্ন জেলায় ঘরেফেরা মানুষ ও ভারত ফেরতরা সাতক্ষীরায় আসার পরই সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় প্রায় ২৫ লাখ লোকের বাস। এ জেলার সঙ্গে ভারতের রয়েছে ১৩৭ কিলোমিটার সীমান্ত।
পরিসংখ্যান বলছে, ভারত প্রত্যাগত পাসপোর্ট যাত্রী সাতক্ষীরায় আসার পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ভারত থেকে আগত ৩৩৭ জনের মধ্যে ১৭ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। তাছাড়া সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম না মেনেই অবাধে ঢুকছে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক। আবার বাজার ও মার্কেটগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। আক্রান্তের সংখ্যা এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংস্থান না হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালেও ২৩ জন করোনা উপসর্গের রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হোসাইন সাফায়েত বলেন, ঈদের আগে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়ি এসেছে, তারা ইচ্ছামতো ঘুরেছে, এসব কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের দাবি, ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসা বাংলাদেশিদের কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত থেকে কতজন অবৈধভাবে সাতক্ষীরায় এসেছে, এমন সব তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করা হবে। আগামী ৩ জুলাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে সীমান্তে টহল বাড়িয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে সাতক্ষীরা বিজিব ৩৩ ব্যাটালিয়ন উপ-অধিনায়ক রেজা আহমেদ বলেন, একইসঙ্গে যারা মাদক ও গরু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের বাড়ি ও গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
জেলায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ৫৮৫ জনের দেহে করোনা জীবাণু পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ৪৭ জন মারা যান। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২০৯ জন।