চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার গুচ্ছগ্রাম, আদর্শগ্রাম ও লক্ষীরখীল যাতায়াতের প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার প্রবেশমুখে সীমানাপ্রাচীর দিয়ে চলাচল রাস্তা দখলের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে।এর ফলে তিন গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের যাতায়াত বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এই দুর্ভোগ ও সড়ক ঘেঁষে পাকা দেয়াল নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল পৌরসভার লক্ষীরখীল ও উত্তর ঘাটচেক ৫নং ওয়ার্ড সর্বস্তরের জনসাধারণ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা সদরের ইছাখালী এলাকায় তিন গ্রামের শতাধিক মানুষ রাস্তা দখল মুক্ত করে জনসাধারণের চলাচল স্বাভাবিক করতে এ মানববন্ধন করেন। এসময় তারা দেয়াল ভেঙে দিয়ে রাস্তাটি উন্মুক্ত করারও দাবি জানান।
লক্ষীরখীল সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি আকতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন, মঈন উদ্দিন, আবদূর রশিদ, পুতুল আলী, মো. রাসেল, মো. শুক্কুর, মো. তৌহিদ, মো. বাবুল, মো. আবছার, নাজিম উদ্দীন প্রমুখ।
বিক্ষোভকারীরা জানান, আপন ক্লাবের পেছন দিয়ে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক দিয়ে গুচ্ছগ্রাম, আদর্শগ্রাম ও লক্ষীরখীল গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু সড়কের প্রবেশমুখেই জনৈক আবদুস সালাম ও মো. ফয়েজ সড়ক ঘেঁষে টিনের বেড়া লাগিয়ে ভেতরে পাকা দেয়াল নির্মাণ করছে। সমাজকমিটির পক্ষ থেকে তাদের বাঁধা দিলেও কাজ থেকে বিরত রাখা যায়নি৷ এমনকি পৌরসভা কার্যালয় ও এসিল্যান্ড বরাবর অভিযোগ দিয়েও থামানো যাচ্ছে না এই দখল প্রক্রিয়া। এরপ্রতিবাদ করায় এলাকার জনসাধারণ ও সমাজের নেতৃবৃন্দদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তাই এই বিক্ষোভ কর্মসূচী করা হচ্ছে বলে জানান তারা।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো. ফয়েজ দাবী করেন, সড়কটি তাদের পৈত্রিক জায়গার উপর দিয়ে হয়েছে। এরপরও তাদের ত্রিশ বছর ধরে থাকা টিনের সীমানা বেড়া বরাবর দেয়াল নির্মাণ করছেন। একটি মহল চাঁদা দাবী করে না পেয়ে এই ষড়যন্ত্র করছে। এই ব্যাপারে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা মানবন্ধন ও সমাবেশ শেষে পৌরসভা কার্যালয় ও এসিল্যান্ড দপ্তর পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এসময় আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজান হোসাইন বলেন, ঘটনাস্থলে আমি গিয়ে মৌখিকভাবে তাদের কাজ করতে নিষেধ করেছিলাম। এরপরও তারা রাস্তা থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় না রেখে কাজ করলে সড়ক প্রসস্তের সময় তা অবশ্যই ভাঙার মধ্যে পড়বে বলেও তাদের জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বিষয়টি আরও অধিকতর তদারকি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে। যদি ব্যক্তি মালিকানাদীন না হয়ে সরকারি রাস্তায় সীমানাপ্রাচীর দেওয়া হয়, এলাকাবাসীর স্বার্থে এটি অপসারণ করা হবে।
এমজে/সিটিজিনিউজ