বার্ধক্য ঠেকানো কি সম্ভব? বার্ধক্য তো একটা প্রাকৃতিক নিয়ম এবং প্রত্যেকেরই পরিণতি। আমরা বেশিরভাগ মানুষ জীবনকে এভাবেই দেখি। কিন্তু জেনেটিক বিজ্ঞানীদের অনেকে মনে করেন, বার্ধক্য ঠেকানো সম্ভব। রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে এমন কিছু কাজ করছেন, যা বিশ্ববাসীর মনে আশা ও উদ্বেগ সঞ্চার করছে।
বার্ধক্য থামানোর ওষুধ তৈরির কাজ শুরু করতে রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্বয়ং। জানা গেছে, নিজের জন্য নয়, দেশের জন্যই এই ওষুধ তৈরি করতে বলেছেন পুতিন। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ান টিভি কারেন্ট টাইম।
কারেন্ট টাইম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার মানুষদের গড় আয়ু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। যাতে তাদের আয়ু বাড়ে, তার জন্য তিনি রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের দ্রুত বার্ধক্য রোধকারী বা অ্যান্টি-এজিং চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করতে বলেছেন।
গত জুন মাসেই এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি মেদুজা ও সিস্টেমা নামে দুটি সংবাদমাধ্যমের তদন্তমূলক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। আপাতত বার্ধক্য ঠেকিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে চায় রাশিয়া।
নির্দেশ পাওয়ার পরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখানের চিকিৎসক-গবেষকদের এমন ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করতে বলা হয়েছে- যা সাধারণ মানুষের বয়স বা বার্ধক্য রুখে দিতে কাজ করবে।
সম্প্রতি রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী টাটিয়ানা গোলিকভা জানিয়েছেন, সরকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে এমন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করা হবে, যা আয়ু বাড়াবে এবং জীবনের মানোন্নয়ন করবে।
