ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থাপনায় ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট এবং ড্রোন হামলা চালিয়ে ব্যাপকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তারা বলছে, এতে তাদের মিশন সম্পন্ন হলো; এটি সিনিয়র সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকে হত্যা’র একটি প্রতিক্রিয়া।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ রোববার জানিয়েছে, তাদের সিনিয়র সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকে হত্যা করার প্রাথমিক বদলার অংশ হিসেবে ভোরের দিকে এ অভিযান চালায় তারা।
হিজবুল্লাহ জানায়, তারা ইসরাইলের রামোত নাফতালি ব্যারাক, নেভেহ জিভ এবং জৌরা আর্টিলারি অবস্থানের পাশাপাশি মেরন, জাতুন, সাহেল এবং এইন জেইতিম ঘাঁটিতে ড্রোন এবং ৩২০টি কাতিউশা রকেট দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
হিজবুল্লাহ আরো বলেছে যে, আজকের মত তাদের সামরিক অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে।
ইসরাইলের স্থানীয় মিডিয়াগুলো জানিয়েছে, রোববার সকালে অধিকৃত অঞ্চলে ‘ডাফোরা’ নামক একটি ইসরাইলি যুদ্ধজাহাজে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ।
দেশটি আরো জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ’র হামলায় জাহাজটিতে থাকা একজন ইসরাইলি সৈন্য নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
গত ৩০ জুলাই দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকুর নিহত হয়েছিলেন।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা চালায় এবং হিজবুল্লাহ একটি বড় ড্রোন ও রকেট হামলা চালিয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতামূলক আলোচনায় অগ্রগতির কোনো লক্ষণ প্রকাশ না করায় এই উত্তেজনা এলো। একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মিশরের রাজধানী কায়রোতে থাকা হামাসের একটি প্রতিনিধিদল শহর ছেড়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী শনিবার গাজায় কমপক্ষে ৭১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যখন ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক এবং বুলডোজার কেন্দ্রীয় শহর দেইর এল-বালাহতে অগ্রসর হয়েছে।
এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৪০,৩৩৪ জন নিহত এবং ৯৩,৩৫৬ জন আহত হয়েছে। ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলার সময় ইসরায়েলে আনুমানিক ১,১৩৯ জন নিহত হয়।