আরিফুল আরশাদ, স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লার বরুড়ায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতা ইকবালের বসত বাড়ী দখলের অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৫ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক বিরোধকে কেন্দ্র করে উপজেলার শিলমুড়ী ইউনিয়নের ফলকামুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বরুড়া থানায় কোন মামলা নেয়নি।
জানা গেছে, বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি ইউনিয়নের ফলকামুড়ি গ্রামের বাসিন্দা হাফেজ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের ছেলে লন্ডনে বসবাস করছে। সে বরুড়া উপজেলার ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক এবং সাধরণ সম্পাদক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বরুড়া থানায় একটি বিস্ফোরক ও হত্যা চেষ্টা মামলা রয়েছে। ওই মামলায় সে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী। বর্তমানে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিরোধী দলের রাজনীতি করায় তার জন্য কাল হয়েছে। যার কারণে সে মিথ্যা মামলার সহ শারিরীকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। পরবর্তীতে ইকবাল আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারীতে একটি বিস্ফোরক ও হত্যা চেষ্টা মামলার ফেরারী আসামী হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। তিনি প্রথমে ২০১৫ সালের মে মাসের ৮ তারিখে বাংলাদেশ থেকে কাতারে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে মায়ের অসুস্থতার খবর শুনে গোপনে ২০২২ সালের মে মাসের ০১ তারিখে দেশে আসেন। দেশে এসে তিনি বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেননি। বাড়িতে বিভিন্ন জায়গা থেকে হুমকি আসায় তিনি ২০২২ সালের ২৫ আগস্টে দেশ ত্যাগ করে কাতার হয়ে তুরকিতে চলে যান। পরবর্তীতে তিনি তুরকি থেকে ২০২২ সালের আগস্ট মাসের ২৮ তারিখ লন্ডনে চলে যান। ২০২৩ সালেও তিনি বাড়িতে ফিরতে চেয়েছিলেন কিন্তু পরিবেশ অনুকূলে না থাকার কারনে এবং গ্রেপ্তার ও মৃত্যুর ঝুঁকি থাকার কারনে তিনি বাড়িতেও ফিরতে পারছেন না। তার মূল কারণ হচ্ছে তিনি যখন ২০২২ সালের ৯ অগাস্ট বাংলাদেশ পুলিশ বাদী হয়ে তার নামে আরো একটি বিস্ফোরক মামলা হয় দায়ের করেন, মামলা নং-৩০/২২।
এছাড়াও ২০২৩ সালে বাড়ি ঘর বর্তমানে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা দখল করে নিয়েছে। সন্ত্রাসীরা তার মাকেও মারধর করে আহত করেছে। তার মা গুরুতর আহত হওয়ার পর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে বরুড়া থানা ওসি মামলা নেয়নি। ইকবালের পারিবারিক আইনজীবি হাফিজুর রহমান জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান ও এমপির হস্তক্ষেপের কারণে গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখে তার বাবাকে গুম করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে তিনি খোঁজ খবর নিয়ে তার বাবাকে কুমিল্লা কারাগারে পান। তার বাবার নামে যে নাশকতার মামলা হয়েছে তিনি তা সেটি দেখছেন এবং তিনি ইকবালকে দেশের বাহিরে থাকার পরামর্শ দেন। এই মূহুর্তে দেশে আসার বাপারে নিষেধ করেন। এখানের পরিস্থিতি ভালো না। আসলে প্রাণনাশের আশংকা বেশি।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়। আমি ইকবাল হোসেনের বাড়ি দখল করিনি। আমি তার মাকেও মারধর করিনি। আমার অপপ্রচার করা হচ্ছে।
এ ব্যপারে থানায় যোগাযোগ করা হলে ওশি রাজিবুল হাসান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।