এমপি আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরের পর খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টার নিয়ে অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলী সাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ছদ্মবেশে মন্দিরে অবস্থান করছিলেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এমপি আজীমের হত্যা মিশনে অংশ নেওয়ার পর দেশে ফিরে আসেন তারা। দেশে এসে চলে যান চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে। সেখানে শ্রী শ্রী পাতাল কালীমন্দির এলাকায় অবস্থান নেন।
ফয়সাল নিজেকে পলাশ ও মোস্তাফিজ নাম পাল্টে শিমুল রায় পরিচয় দেন। এই পরিচয়ে মন্দিরে এতদিন অবস্থান করছিলেন। আজ তাদের আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল রাতে হেলিকপ্টারে আসামিদের নিয়ে ঢাকায় ফেরে ডিবির অভিযানিক দলটি। পরে ঢাকায় নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, কলকাতায় এমপি আজীমকে খুন করে ১৯ মে দেশে ফেরেন মোস্তাফিজ ও ফয়সাল। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন তারা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। আদালতে জবানবন্দিতে একাধিক অভিযুক্ত ব্যক্তি হত্যায় তাদের জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছেন।
১৩ মে কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেন্সের ফ্ল্যাটে খুন হন এমপি আজীম। হারুন বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত ছিলেন মোস্তাফিজ ও ফয়সাল। তারা খুনের আগে ২ মে কলকাতায় গিয়েছিলেন। এরপর খুনের ঘটনায় দেশে শিমুল ভূঁইয়া, তাঁর ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া ও সেলিস্তি রহমান গ্রেপ্তার হলে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল আত্মগোপনে চলে যান।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, ৯ জন কিলিং মিশনে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে সাতজনকে বাংলাদেশে এবং দু’জনকে ভারতীয় পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারা সবাই বাংলাদেশি। এখন মূল টার্গেট মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনকে গ্রেপ্তার করা। তিনি মার্কিন নাগরিক। তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দিয়েছে ভারত। কারণ ভারতের সঙ্গে আমেরিকার প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে।
আলামতের মোবাইল উদ্ধারে পুকুরে অভিযান
কামাল আহমেদ বাবুর আলামতের মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য গতকাল সকালে ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে তাকে নিয়ে কঠোর নিরাপত্তায় পুলিশের একটি প্রিজনভ্যান জেলা শহরে পৌঁছায়। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুসারে শহরের পায়রা চত্বর-সংলগ্ন পুকুর এবং বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশের পুকুরে জেলে ও ডুবুরিদের দিয়ে অভিযান চালানো হয়। তবে অভিযানে কোনো মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি।
এমজে/