মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের তাণ্ডবে গোটাবিশ্ব এখন তটস্থ। টিকা কার্যক্রম চললেও থেমে নেই মৃত্যুর মিছিল। যে মিছিলে গত ২৪ ঘণ্টায় শামিল হয়েছেন আরও ১৩ হাজার ৫১৩ জন। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ২০৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে ভারতে। এ সময়ে বিশ্বে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরও ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫৮ জন। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৬০ হাজার ৫৬১ জনই ভারতের।
করোনা আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, এ নিয়ে বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৫-তে। যাদের মধ্যে মারা গেছে ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার ৯০১ জন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে ১৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৮ জন সুস্থ হলেও এখনও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৮ লাখ ৬৬ হাজার ১০৬ জন।
বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সবার ওপরে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৩০ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৫৯ জনের। যা নিয়ে দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার ১৮১ জন। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ২ হাজার ৬১৬ জনের। এখনও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫৮ লাখ ৭১ হাজার ৯১৪।
এর পরের স্থানেই অবস্থান করা এশিয়ার জনবহুল দেশ ভারতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ ৩১ হাজার ৯৯১ জনে। আর মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯১ হাজার ৩৬৫ জনের। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৮৯১ এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে ৮ হাজার ৯৪৪ জন।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবলপ্রিয় দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৮৩ হাজার ৩৬৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৫২৭ জনের। যা নিয়ে সেখানে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫৮ জন। আর মোট মৃত্যু ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৯১। সক্রিয় রোগী ১০ লাখ ৬৮ হাজার ২০৫ জন।
তালিকায় এরপরের স্থানে থাকা ফ্রান্স, তুরস্ক, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও ইতালিতে সংক্রমণের সংখ্যা ৪০ থেকে ৬০ লাখের মধ্যে থাকলেও তুরস্ক বাদে ওপর দেশগুলোতে মৃত্যু লাখ ছাড়িয়েছে। ৩৩ নম্বরে থাকা বাংলাদেশেও মৃত্যুর সংখ্যা ১২ হাজার ২শ ছাড়িয়েছে।