বিশ্বজুড়ে এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতিদিন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষিত লকাডাউনের পর করোনা প্রতিরোধে ভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট কিট, চিকিৎসা সরঞ্জাম, হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির উপাদান, মাস্ক, সুরক্ষা পোশাক, কাঁচামালসহ ৪৬ ধরনের পণ্য আমদানিতে শুল্ক-কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী উপাদন আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক-কর অব্যাহতি দিয়ে বুধবার (১৯ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
করোনা সুরক্ষা পোশাকসহ ৪৬ পণ্য আমদানিতে আমদানি শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট, আগাম ভ্যাট ও অগ্রিম কর দিতে হবে না। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই সুবিধা নিতে পারবেন আমদানিকারকরা।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহলের দরকার হয়। এই আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল আমদানিতে শুল্ক দিতে হবে না। এছাড়াও করোনাভাইরাস শনাক্তে দুই ধরনের টেস্ট কিটস এবং ডায়াগনস্টিক টেস্ট যন্ত্রপাতিতেও থাকছে না কোনো শুল্ক কর। এছাড়া এই পণ্যের তালিকায় আছে তিন স্তরের সার্জিক্যাল মাস্ক, সুরক্ষা পোশাক, প্লাস্টিক ফেস শিল্ডস, সার্জিক্যাল পোশাক, বিশেষ ওভেন স্যুট, মেডিকেল প্রটেকটিভ গিয়ার, সুরক্ষা চশমা, ডিসইনফেকটেন্টস।
করোনা প্রতিরোধী ৪৬ পণ্য আমদানিতে শুল্ক ও কর অব্যাহতি দেওয়া হলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে আমদানিকারককে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে।
শর্তের মধ্যে রয়েছে কি পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হবে তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। গার্মেন্টস পণ্য আমদানিতে লাগবে বিজেএমইএ ও বিটিএমএ’র প্রত্যয়ন, আমদানি করা পণ্যগুলো মানসম্মত কিনা, তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নিশ্চিত হতে হবে এবং নিয়মিত তদারক করবে।